ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্মৃতি ধরে রাখার ৭টি কার্যকর উপায়

প্রকাশিত: ১১:০২, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্মৃতি ধরে রাখার ৭টি কার্যকর উপায়

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্মৃতি ধরে রাখার ৭টি কার্যকর উপায়
বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের স্মৃতিশক্তিতে কিছু পরিবর্তন দেখা দেয়। মাঝে মাঝে রান্নাঘরে গিয়ে ভুলে যাই কেন সেখানে গিয়েছি, কিংবা পরিচিত কারো নাম মনে করতে কষ্ট হয়। যদিও এগুলো সাধারণ স্মৃতিভ্রংশের লক্ষণ হতে পারে, তবে বয়স্কদের মধ্যে বড় ধরনের স্মৃতিভ্রংশ বয়সের স্বাভাবিক অংশ নয়। এটা সাধারণত অর্গানিক অসুস্থতা, মস্তিষ্কের আঘাত, বা স্নায়ুবিক সমস্যার কারণে হয়, যেখানে আলঝেইমার রোগ অন্যতম ভয়াবহ।

তবে, অনেক গবেষণার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে যে, কিছু কৌশল অনুসরণ করে আমরা স্মৃতিশক্তি ধরে রাখতে এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে পারি। নিচে এমন সাতটি কৌশল তুলে ধরা হলো।

১) শিখতে থাকুন
উচ্চ শিক্ষার সঙ্গে স্মৃতিশক্তি ভালো থাকার সম্পর্ক রয়েছে। মানসিক ব্যায়াম মস্তিষ্কের কোষগুলো সক্রিয় রাখে এবং তাদের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ায়। নতুন কিছু শেখা যেমন সঙ্গীত, শিল্পকলা বা একটি নতুন ভাষা শেখার মতো কাজ, মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। পাজল সমাধান করা, বই পড়া বা নতুন কোনো দক্ষতা অর্জন করার চেষ্টা করুন।

২) সব ইন্দ্রিয় ব্যবহার করুন
যত বেশি ইন্দ্রিয় ব্যবহার করবেন, তত বেশি মস্তিষ্ক স্মৃতি সংরক্ষণে সাহায্য করবে। উদাহরণস্বরূপ, নতুন কোনো খাবারের গন্ধ বা স্বাদ নিয়ে অনুমান করার চেষ্টা করুন। মৃৎশিল্প বা ভাস্কর্যের মতো কাজে নিজেকে যুক্ত করুন, যেখানে আপনার স্পর্শ এবং গন্ধের অনুভূতিও কাজে আসবে।

৩) নিজের ওপর বিশ্বাস রাখুন
বয়স নিয়ে নেতিবাচক ধারণা আপনার স্মৃতিশক্তিকে প্রভাবিত করতে পারে। যারা মনে করেন স্মৃতিশক্তি উন্নত করা সম্ভব, তারা বাস্তবে সেটি করার জন্য কাজ করেন। ইতিবাচক মনোভাব ধরে রাখলে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করলে আপনার মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ভালো থাকবে।

৪) মস্তিষ্কের শক্তি বাঁচান
ছোটখাটো তথ্য মনে রাখার জন্য মস্তিষ্কের শক্তি খরচ না করে পরিকল্পনাকারী, ক্যালেন্ডার বা নোটবুক ব্যবহার করুন। ঘরের জিনিসপত্রের নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করুন, যেন খুঁজে পেতে কষ্ট না হয়। অপ্রয়োজনীয় জিনিস সরিয়ে মনোযোগ বাড়ানোর জন্য কাজের জায়গা গুছিয়ে রাখুন।

৫) পুনরাবৃত্তি করুন
কিছু মনে রাখতে চাইলে বারবার তা বলুন বা লিখে রাখুন। যেমন, কারো নাম শোনার পর সেটি কথোপকথনে ব্যবহার করুন: “তাহলে জন, তুমি কেমিলের সাথে কোথায় দেখা করেছিলে?” এতে স্মৃতিশক্তি আরো দৃঢ় হয়।

৬) সময় অনুযায়ী পুনরাবৃত্তি করুন
বারবার একই জিনিস অল্প সময়ে পড়ার পরিবর্তে সময়ের ব্যবধান বাড়িয়ে পড়ুন। যেমন, এক ঘণ্টা পর একবার, কয়েক ঘণ্টা পর আবার, তারপর একদিন পর। এ পদ্ধতি বিশেষত জটিল বিষয় শিখতে সহায়ক।

৭) মনে রাখার সহজ উপায় তৈরি করুন
মনে রাখার জন্য মজার কৌশল ব্যবহার করুন, যেমন অ্যাক্রোনিম বা বাক্য। উদাহরণস্বরূপ, RICE (Rest, Ice, Compression, Elevation) কিংবা “Every Good Boy Does Fine” সুরের লাইন মনে রাখতে সাহায্য করে।

 

বয়সজনিত স্মৃতিভ্রংশকে মোকাবিলা করতে সচেতন থাকা এবং এই কৌশলগুলো ব্যবহার করা আপনাকে দীর্ঘমেয়াদে স্মৃতিশক্তি ধরে রাখতে সাহায্য করবে।


 

জাফরান

×