জিন্স প্যান্ট
জিন্স প্যান্ট কিনতে হলে ভালো দেখেই কেনা উচিত। বাজারে যেমন পাওয়া যায় দামি জিন্স প্যান্ট তেমনি রয়েছে পানির দরের দামের প্যান্ট। আসলে জিন্স প্যান্ট কেনার সব থেকে সহজ উপায়টি হল আগে নিজের প্রয়োজনটি বুঝে উঠা। নিজের প্রয়োজন আর উদ্দেশ্য জানা থাকলেই ভালো মানের জিন্স প্যান্ট কেনাটা হয়ে উঠে অনেক সহজ।
বাজেট: কোন কিছু কেনার আগেই প্রথমে নির্ধারিত করে নিতে হবে আপনার বাজেট কত। বাজেট জানা থাকলে সেই অনুযায়ী কাপড় কেনার জন্য আপনি খোজ শুরু করতে পারবেন। বাজেট করে পণ্য কিনার অভ্যাস করলে একই সাথে বাজারদর জ্ঞান এবং মানসিক প্রশান্তি দুইটিই লাভ করা সম্ভব।
ফেব্রিক: সব কাপড়ের জিন্স আপনার জন্য পারফেক্ট নয়। মূলত জিন্স প্যান্ট প্রস্তুত করা হয় ডেনিম সুতি দিয়ে। সে কারনে এটি একি সাথে মোটা, ভারি এবং টেকসই হয়ে থাকে। তবে জিন্স প্রস্তুতের সময় কাপড়ের জিএসএম এ পার্থক্য রাখা হয়। যার উপর কাপড়ের পুরুত্ব নির্ভর করে। জিএসএম যত বেশি কাপড় তত ভারি হবে। সেক্ষেত্রে কত জিএসএম এর কাপড় আপনার জন্য প্রযোজ্য সেটা বুঝে নিয়ে জিন্স প্যান্ট বাছাই করুন। বিক্রেতা কে প্রশ্ন করে অথবা নিজেই হাতে ধরে ওজন করে আপনি বিষয়টি জেনে নিতে পারবেন।
কোমড় সাইজ: জিন্স প্যান্ট কেনার ক্ষেত্রে সঠিক মাপের হওয়াটা খুব জরুরি। অনেকেই নিজের সাইজের থেকেও বেশি বড় সাইজ কিনে থাকেন, বেশি দিন পরার জন্য। আবার অনেকে ছোট সাইজ কিনে থাকেন নিজেকে স্লিম দেখানোর জন্য। যার দুইটি-ই ভুল উপায়। এতে করে পরবর্তিতে পরিধানে অসুবিধা সহ শারীরিক অস্বস্তি ও হতে পারে। বিশেষ করে প্যান্টের হাই এর মাপ নিয়ে উনিশ-বিশ করা একদম-ই ঠিক নয়। নিজের মেজারমেন্ট বুঝে সঠিক মাপের জিন্স প্যান্ট কিনলেই সেটি হয়ে উঠবে আপনার জন্য একটি ভালো জিন্স প্যান্ট।
কালার লাস্টিং: জিন্স প্যান্টের মৌলিক রঙের মধ্যে নীল, কালো, ধুসর আর সাদা বেশি সুপরিচিত। তবে বৈচিত্র বাড়ানোর জন্য বর্তমানে অনেক ক্যামিকেল ও টেক্সটাইল কালার ব্যবহার করা হয়। একটি ভালো জিন্স প্যান্টের কালার লাস্টিং থাকবে বহুদিন। তবে এক্ষেত্রে কম দামী প্যাটগুলো এড়িয়ে যাওয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে। পরিচিত দোকান অথবা মিডিয়াম প্রাইস রেঞ্জের প্যান্ট গুলোতে কালার গ্যারেন্টি থাকে, তাই ভালো মানের প্যান্ট কেনার জন্য লো-প্রাইসের জিন্স প্যাট না কেনাই ভালো।
ইলাস্টিসিটি: এটি একটি কাপড়ের ফ্লেক্সিবিলিটি বোঝায়। জিন্স কাপড়ের জন্য ইলাস্টিসিটি খুবই প্রয়োজন। এতে করে আপনি পরিধানের সময় এক্সট্রা কম্ফোর্ট লাভ করতে পারবেন, তাছাড়া এটি কাপড়কে লং লাস্টিং করতেও সাহায্য করে। তাই জিন্স কেনার সময় কাপড়কে স্ট্রেচ করে পরিক্ষা করে নিতে পারেন, এতে করে আপনার একটি ক্লিয়ার ধারনা লাভ হবে।
ফিটিং: ফিটিং এর ক্ষেত্রে এক এক জিন্স প্যান্ট এক এক রকম। ডিজাইন আর স্টিচের উপর এটি অনেক ক্ষেত্রে নির্ভর করে। বর্তমানে সব থেকে পপুলার ফিটিং গুলোর মধ্যে অন্যতম হল, স্কিনি ফিট, স্লিম ফিট, ট্যাপার্ড ফিট, স্ট্রেইট ফিট, জগার ফিট ইত্যাদি। ফিটিং চয়েজটি অবশ্যই আপনার পার্সোনালিটির উপর নির্ভর করে হবে। তবে খেয়াল রাখবেন তা যেন আপনার কম্ফোর্টজোনকে ব্যহত না করে।
লং লাস্টিং: লং লাস্টিং এর বিষয়টি শুধু কাপড়ের কোয়ালিটি নয় বরং আপনার যত্নের উপর ও নির্ভর করে। সেক্ষেত্রে দামী জিন্স মানেই লং লাস্টিং ইউজ, এটি ভুল কথা। আপনার বাজেট ফ্রেন্ডলি জিন্স প্যান্টটিও দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে যদি আপনি সঠিক ভাবে ব্যবহার ও যত্ন নিতে পারেন।
ওয়াশ: জিন্স প্যান্টের আকর্ষণীয় ফেডেড কালার আনার জন্য অনেক ক্ষেত্রেই ক্যামিকেল ওয়াশ করা হয়। তাছাড়া অনেকেই জিন্স প্যান্ট ধোয়ার জন্য ড্রাই ওয়াশ, এসিডিক ওয়াশ ইত্যাদির সহায়তা নেন। এতে অনেক ক্ষেত্রেই কাপড়ের ফেব্রিক দুর্বল হয়ে যায়। ফলে প্যান্ট দ্রুত ছিড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই কষ্ট হলেও খুব প্রয়োজন না হলে জিন্স প্যান্ট হাতে ধুয়ে নিলে ভালো হয়। আর অতিরিক্ত ক্যামিকেল ওয়াশ করা জিন্স প্যান্ট ও রেগুলার ইউজের জন্য কেনা এড়াতে পারেন।
শহীদ