ছবি: প্রতীকি অর্থে ব্যবহৃত
সমাজে একটি প্রচলিত ধারণা হলো, স্বার্থপর মানুষরা জীবনে বেশি উন্নতি করে, যেখানে ভালো মানুষরা অনেক সময় পিছিয়ে পড়েন। গবেষণা বলছে, এর পেছনে বেশ কয়েকটি মনস্তাত্ত্বিক এবং সামাজিক কারণ কাজ করে।
স্বার্থপর মানুষের সফলতার কারণ:
১. নিজের স্বার্থকে অগ্রাধিকার: স্বার্থপর ব্যক্তিরা তাদের লক্ষ্যকে সামনে রেখে সিদ্ধান্ত নেন এবং আবেগকে সরিয়ে রেখে কৌশলী পদক্ষেপ নেন।
২. ঝুঁকি নেওয়ার মানসিকতা: তারা প্রয়োজন অনুযায়ী ঝুঁকি নিতে দ্বিধা করেন না।
৩. নিজেকে তুলে ধরার দক্ষতা: স্বার্থপর ব্যক্তিরা তাদের কৃতিত্বকে বড় করে দেখানোর দক্ষতা রাখেন, যা অনেক সময় উচ্চপদে পৌঁছাতে সাহায্য করে।
ভালো মানুষের পিছিয়ে পড়ার কারণ:
১. অন্যের স্বার্থকে গুরুত্ব দেওয়া: ভালো মানুষরা অনেক সময় নিজেদের চেয়ে অন্যের সুবিধাকে অগ্রাধিকার দেন।
২. সংঘাত এড়ানোর প্রবণতা: তারা প্রায়ই বিরোধ এড়াতে চুপ থাকেন, যা তাদের অবস্থানকে দুর্বল করে।
৩. স্বীকৃতি চাওয়ার অনীহা: ভালো মানুষরা তাদের কৃতিত্ব নিয়ে অহংকার করতে চান না, যার ফলে তারা প্রাপ্য স্বীকৃতি থেকে বঞ্চিত হন।
তবে কি স্বার্থপর হওয়া উচিত?
বিশেষজ্ঞদের মতে, একেবারে স্বার্থপর হওয়া যেমন নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয়, তেমনি অতি নিঃস্বার্থ হওয়াও জীবনে সফলতার পথে বাধা হতে পারে। সঠিক ভারসাম্য বজায় রেখে চলাই সাফল্যের মূল চাবিকাঠি।
স্বার্থপরতা এবং ভালোবাসার মধ্যে একটি সুস্থ সমন্বয় করে চলতে পারলেই একজন মানুষ জীবনে সাফল্যের শিখরে পৌঁছাতে পারেন। নিজের মূল্যায়ন করা এবং সঠিক সময়ে নিজের পক্ষে কথা বলা এই দুটিই একজন ভালো মানুষকে সফল করতে পারে।
জাফরান