ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

সুখী মনে হলেও কষ্টে ভোগা মানুষদের ৮ লক্ষণ

প্রকাশিত: ০৪:২৫, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

সুখী মনে হলেও কষ্টে ভোগা মানুষদের ৮ লক্ষণ

ছবি সংগৃহীত

বহু মানুষের জীবনেই এমন পরিস্থিতি আসে, যখন তারা বাহ্যিকভাবে সুখী ও আনন্দিত মনে হলেও, তাদের ভিতরের পৃথিবী একেবারে বিপরীত। এটা এমন একধরনের মানসিক অবস্থা যা সহজেই বোঝা যায় না। কারণ তারা সবসময় হাসি মুখে থাকেন এবং নিজেদের সব সমস্যাকে গোপন রাখতে সক্ষম হন। কিন্তু এই বাহ্যিক সুখের আড়ালে অনেকেই নিরবেই মানসিক কষ্টে ভোগেন।

এমন কিছু সূক্ষ্ম আচরণ রয়েছে যেগুলি দেখে আপনি বুঝতে পারবেন। বাহ্যিকভাবে যিনি হাসি-খুশি থাকেন, তিনি আসলে ভেতরে ভীষণ মানসিক চাপের মধ্যে আছেন। এখানে এমন ৮টি সূক্ষ্ম আচরণের কথা আলোচনা করা হলো যা সাধারণত সুখী কিন্তু ভেতরে কষ্টে থাকা মানুষদের মধ্যে দেখা যায়।

১) সবসময় সাহসী মুখাবয়ব তৈরি রাখা
এমন মানুষরা প্রায়ই অত্যন্ত হাসিখুশি এবং প্রাণবন্ত হয়ে ওঠেন। তাদের হাসি ও উচ্ছ্বাস অত্যন্ত সংক্রামক, যা অন্যদের আনন্দিত করে। তবে, তাদের হাসির আড়ালে একটি গভীর কষ্ট লুকানো থাকতে পারে। এই ধরনের মানুষদের মাঝে চোখে কিছুটা নিঃসঙ্গতা এবং মলিনতা দেখা যায়, যা তাদের হাসির মধ্যে প্রতিফলিত হয় না।

২) অন্যদের কান্নার সঙ্গী হওয়া
যারা অন্যদের সবসময় শোনার জন্য প্রস্তুত, তাদের মধ্যে বেশিরভাগই নিজের দুঃখ-দুর্দশা লুকিয়ে রাখেন। তারা অন্যদের সাহায্য করতে খুবই আগ্রহী, কিন্তু নিজেদের সমস্যার কথা বলার জন্য কখনোই উদ্যোগ নেন না।

৩) ‘শো মাস্ট গো অন’—এই মন্ত্রে বিশ্বাসী হওয়া
যারা সবসময় হাস্যোজ্জ্বল এবং বাহ্যিকভাবে সুখী থাকেন, তারা প্রকৃতপক্ষে মানসিক যন্ত্রণায় ভুগতে থাকেন। তাদের জীবন মঞ্চের পারফরমেন্সের মতো, যেখানে তারা প্রতিদিনের কাজ সম্পন্ন করেন এবং মানুষের কাছে সুখী হিসেবে পরিচিত হতে চান, যদিও ভিতরে ভীষণ কষ্টে আছেন।

৪) পারফেকশনিস্ট হওয়া
এমন মানুষরা সবকিছুতেই নিখুঁত হওয়ার চেষ্টা করেন। তারা বিশ্বাস করেন, তাদের জীবনে সবকিছু সঠিকভাবে হলে তারা ভালো অনুভব করবেন। এই নিখুঁত হওয়ার চেষ্টা আসলে তাদের ভিতরের কষ্ট লুকানোর একটি উপায় হতে পারে।

৫) অতিরিক্ত দানশীল হওয়া
যারা অন্যদের জন্য সবসময় কিছু না কিছু করতে প্রস্তুত, তারা অনেক সময় নিজেদের মানসিক শান্তি খুঁজে পাওয়ার জন্য এটি করেন। তারা এইভাবে নিজের যন্ত্রণাকে উপেক্ষা করার চেষ্টা করেন।

৬) অতিরিক্ত ব্যস্ত থাকা
এমন মানুষরা সবসময় কিছু না কিছু করতেই ব্যস্ত থাকেন। তারা প্রকৃতপক্ষে এক ধরনের মানসিক পলাতকতা হিসেবে কাজগুলো করে থাকেন, যাতে তাদের মন মানসিক কষ্টের দিকে না চলে যায়।

৭) অন্যদের wellbeing নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করা
এমন মানুষরা প্রায়ই অন্যদের খেয়াল রাখেন, তাদের সুখ-দুঃখের বিষয়ে উদ্বিগ্ন হন, কিন্তু নিজের সমস্যা থেকে দূরে থাকেন। এটি আসলে নিজেদের সমস্যা এড়িয়ে চলার একটি কৌশল হতে পারে।

৮) নিজের সমস্যাগুলি শেয়ার না করা
যারা সর্বদা অন্যদের সাহায্য করেন কিন্তু নিজেদের সমস্যা লুকিয়ে রাখেন, তারা আসলে অন্যদের কাছে নিজেদের দুর্বলতা প্রকাশ করতে ভয় পান। তারা মনে করেন, এটি তাদের সুখী মুখাবয়বকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এবং তারা দুর্বল বা বোঝা হয়ে পড়বেন।

আশিকুর রহমান

×