বিয়ে একটি সামাজিক বন্ধন, যা শুধু দুটি মানুষের নয়, বরং দুটি পরিবারেরও মিলন ঘটায়। বর্তমানে অনেকেই সমবয়সী জীবনসঙ্গী বেছে নিচ্ছেন। তবে এর কিছু সুফল এবং কুফল উভয়ই রয়েছে।
ভাল দিক সমূহ
১. ভালো বোঝাপড়া: সমবয়সীদের মধ্যে মানসিক পরিপক্কতা অনেকটা একই রকম হয়, ফলে মতামত ও চিন্তাধারায় মিল থাকে।
২. আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গি: একই প্রজন্মের হওয়ায় যুগোপযোগী চিন্তাভাবনা এবং পারস্পরিক সমঝোতা সহজ হয়।
৩. জীবনযাত্রার গতি: ক্যারিয়ার, পরিবার এবং ব্যক্তিগত সময়ের মধ্যে ভারসাম্য রাখা সহজ হয়।
৪. বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক: সম্পর্কটিতে বন্ধুত্বের রসায়ন বেশি থাকে, যা দীর্ঘস্থায়ী সুখের জন্য ইতিবাচক।
খারাপ দিক সমূহ
১. অভিজ্ঞতার ঘাটতি: একই বয়সের কারণে জীবনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অভিজ্ঞতার পার্থক্য কম থাকে।
২. অহংবোধ: সমবয়সীদের মধ্যে কখনো কখনো অহংবোধ তৈরি হতে পারে, যা সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
৩. আর্থিক স্থিতিশীলতা: একই সময়ে ক্যারিয়ারের শুরু হলে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আসতে দেরি হতে পারে।
৪. পারিবারিক চাপ: অনেক সময় পরিবার থেকে বয়সের পার্থক্যকে সম্পর্কের জন্য উপযোগী মনে করা হয়, যা সমবয়সী দম্পতিদের জন্য চ্যালেঞ্জ হতে পারে।
সমবয়সী জীবনসঙ্গী বেছে নেওয়া ভালো না খারাপ, তা পুরোপুরি ব্যক্তির দৃষ্টিভঙ্গি এবং পারস্পরিক বোঝাপড়ার উপর নির্ভর করে। সঠিক বোঝাপড়া, শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা থাকলে যে কোনও সম্পর্কই সুন্দর হতে পারে।
জাফরান