সম্প্রতি আমেরিকার ভার্জিনিয়া ইউনিভার্সিটির মনোস্তত্ত্ববিদ বিভাগের গবেষকগণ এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক যৌথভাবে একটি সমীক্ষা পরিচালনা করেন, যার মাধ্যমে পুরুষদের মধ্যে মানসিক কষ্ট এবং তাদের তা গোপন রাখার প্রবণতা সম্পর্কে নতুন তথ্য প্রকাশ পায়। গবেষণায় মোট ১১টি পর্যায় সমীক্ষা ও গবেষণা অন্তর্ভুক্ত ছিল।
গবেষণার ফলাফল অনুযায়ী, পুরুষেরা তাদের মানসিক কষ্টগুলো মেয়েদের তুলনায় অনেক বেশি গোপন রাখতে পছন্দ করেন। ১৮ থেকে ৭৭ বছর বয়সী পুরুষদের মধ্যে এই সমীক্ষা পরিচালিত হয়েছিল, এবং এটি প্রমাণিত হয়েছে যে, বেশিরভাগ পুরুষই তাদের দুঃখ নিয়ে বেশি চিন্তা করেন না এবং শেয়ার করার কথা ভাবেন না। এমনকি নিজেদের কাছের মানুষদের কাছ থেকেও তারা এই কষ্ট গোপন রাখেন।
এছাড়াও, গবেষকরা জানিয়েছেন যে পুরুষেরা নিজেদের সমস্যাগুলি বাইরে অন্য কাজ বা শখের মাধ্যমে ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করেন। তবে এই কৌশল সবসময় ফলপ্রসূ হয় না, বরং অনেক সময় এটি তাদের মানসিক সমস্যা আরও বাড়িয়ে তোলে।
এই ধরনের পরিস্থিতিতে, যখন সমস্যা মাথার মধ্যে চেপে বসে এবং সমাধান করার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়, তখন এটি মানসিক ভারসাম্যের পরিবর্তন ঘটাতে পারে। ফলে, পুরুষেরা কখনও কখনও অপরাধপ্রবণ বা আত্মহননের দিকে ধাবিত হন।
গবেষকরা সুপারিশ করেছেন যে, পুরুষদের উচিত তাদের সমস্যাগুলি কাছের মানুষের সঙ্গে খোলাখুলি আলোচনা করা। এতে সমস্যা কিছুটা হলেও সমাধান হতে পারে এবং মানসিক চাপ অনেকটা কমে যেতে পারে।
জাফরান