ছবি: সংগৃহীত।
ফিনল্যান্ড, যা পরপর পাঁচ বছর পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী দেশ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে, তার জনসংখ্যা প্রায় ৫৫ লাখ। উন্নত শিক্ষা, সংস্কৃতি, সমাজ এবং অর্থনীতি—সব কিছুই এখানে অনেক উন্নত মানের। অপরাধের হার প্রায় নেই বললেই চলে, আর তাই প্রতি বছর ফিনল্যান্ড সুখী দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
তবে এই সুখী দেশের মধ্যে এক চমকপ্রদ পরিসংখ্যানও রয়েছে—আত্মহত্যার প্রবণতা অত্যন্ত বেশি। ফিনল্যান্ড বর্তমানে আত্মহত্যাপ্রবণ দেশের তালিকায় ২১ তম অবস্থানে রয়েছে। অর্থাৎ, এত উন্নত দেশেও মানুষের মধ্যে মানসিক অশান্তি রয়েছে।
এ বিষয়ে শায়েখ আমাদুল্লাহ তাঁর বই *"আমার রব আল্লাহ"*তে লিখেছেন, কেন ঈমানদার মানুষ সবচেয়ে বেশি সুখী থাকে এবং কেন তাদের মধ্যে কোনো ডিপ্রেশন বা হতাশা থাকে না। বইটিতে আত্মহত্যা এবং হতাশা থেকে বের হয়ে আসার একমাত্র রাস্তা হিসেবে ঈমান এবং নামাজের কথা বলা হয়েছে।
এছাড়া, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক জরিপ অনুযায়ী, পৃথিবীর অধিকাংশ আত্মহত্যাপ্রবণ দেশগুলোতে নাস্তিকদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। অন্যদিকে, মুসলমানদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা সবচেয়ে কম। এর মানে কী? একটি উন্নত দেশ হিসেবে ফিনল্যান্ডে, যেখানে সবকিছু থাকার পরও মানুষ বেঁচে থাকতে চাইছে না, এর কারণ হলো তাদের মানসিক শান্তি নেই।
নবী করিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, "পৃথিবী প্রযুক্তিগতভাবে যতই উন্নত হোক, এটি কখনও মানুষের মানসিক প্রশান্তি দিতে পারবে না।" অর্থাৎ, পৃথিবীর সব প্রযুক্তি এবং আবিষ্কার মানুষকে সুখী বা শান্তি দিতে সক্ষম নয়। প্রকৃত সুখ এবং শান্তি আসে ঈমান এবং আধ্যাত্মিকতা থেকে।
বাংলাদেশেও আত্মহত্যার প্রবণতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর কারণ আমরা যতই ইসলামের নীতি থেকে সরে যাচ্ছি, ততই আমাদের মধ্যে মানসিক অশান্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের সত্যিকারের শান্তি নামাজ এবং ইসলামের সাথে মেলবন্ধনে রয়েছে।
নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মনোযোগ সহকারে পড়লে জীবনে প্রকৃত শান্তি পাওয়া সম্ভব। শায়েখ আব্দুল্লাহ বলেন, নামাজের মাধ্যমে আমরা আমাদের জীবন বদলে ফেলতে পারব। কর্মক্ষেত্রে বা যেখানেই থাকুন, কখনও নামাজে গাফিলতি করবেন না, কারণ নামাজ আমাদের জীবনের সবচেয়ে বড় প্রশান্তির উৎস।
নুসরাত