আমাদের জীবনে এমন কিছু মানুষ থাকে যারা একটি কক্ষে প্রবেশ করলেই চারপাশের শক্তি যেন নিঃশেষ হয়ে যায়। তাদের বিষাক্ত আচরণ, আত্ম-সচেতনতার অভাব বা অন্যদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনে অক্ষমতা—এমন কিছু অভ্যাস একজন মানুষের চরিত্র সম্পর্কে অনেক কিছু বলে দেয়।
চলুন ৮টি প্রধান লক্ষণ নিয়ে আলোচনা করি।
১) নেতিবাচক মানসিকতা
আমাদের চিন্তার ধরণ আমাদের কর্মের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে।কম মানসম্পন্ন মানুষ প্রায়ই তাদের নেতিবাচকতা সম্পর্কে অবগত নয়। তারা সাধারণত হতাশাবাদী হয়, সবকিছুকে অর্ধেক খালি গ্লাস হিসেবে দেখে।এই নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তাদের নিজেদের আচরণে যেমন প্রভাব ফেলে, তেমনি আশেপাশের মানুষদের উপরও বিরূপ প্রভাব ফেলে।
২) দায়িত্ব গ্রহণের অভাব
এই ধরনের মানুষ সবসময় অন্যকে দোষারোপ করে।
মনোবিজ্ঞান বলছে, এই ধরণের লোকেরা তাদের ভুল মেনে নিতে কঠিন মনে করে। তারা দায়িত্ব স্বীকার না করে দোষ চাপিয়ে দিতে বেশি আগ্রহী।
৩) পরিবর্তনের ভয়
প্রাকৃতিকভাবে মানুষ পরিবর্তন এড়ানোর জন্য প্রোগ্রাম করা। তবে, আধুনিক সমাজে এই পরিবর্তন ভীতিই অনেক সময় ক্ষতিকর হতে পারে।
কম মানসম্পন্ন ব্যক্তি তাদের কমফোর্ট জোনের বাইরে যেতে ভয় পায়, এমনকি যখন এটি তাদের জন্য ভালো না হয়।
৪) নিজস্ব বক্তব্য প্রকাশে বেশি আগ্রহী
যোগাযোগ হলো দুইপক্ষীয় বিষয়।কম মানসম্পন্ন ব্যক্তি সাধারণত অন্যদের কথা শোনার পরিবর্তে তাদের নিজস্ব বক্তব্য প্রকাশে বেশি আগ্রহী থাকে।
৫) সহানুভূতির অভাব
সহানুভূতি হলো অন্যের অনুভূতিকে বুঝতে পারার ক্ষমতা।কম মানসম্পন্ন ব্যক্তিরা অন্যদের অনুভূতির সঙ্গে সংযোগ স্থাপনে অক্ষম। এতে সম্পর্কের মধ্যে দ্বন্দ্ব এবং দূরত্ব সৃষ্টি হয়।
৬) কাজ ফেলে রাখার প্রবণতা
দায়িত্ব এড়াতে দেরি করার অভ্যাস কম মানসম্পন্ন ব্যক্তির মধ্যে সাধারণ।এটি অপ্রয়োজনীয় চাপ এবং সুযোগ হারানোর কারণ হতে পারে।
৭) দ্রুত বিচার করা
কম মানসম্পন্ন ব্যক্তিরা প্রায়ই অন্যদের দ্রুত বিচার করে।তারা অল্প তথ্যের উপর ভিত্তি করে মতামত গঠন করে, যা অন্যদের প্রতি অবিচার এবং নিজের উন্নয়নের বাধা সৃষ্টি করে।
৮) আত্মউন্নতির অভাব
কম মানসম্পন্ন ব্যক্তিরা নিজেদের উন্নতির জন্য কিছু শিখতে বা নতুন কিছু চেষ্টা করতে অনিচ্ছুক।
এই অভ্যাস তাদের জীবনকে স্থবির করে তোলে।সবার মধ্যেই উন্নতির সম্ভাবনা থাকে। শুধু সচেতনভাবে চেষ্টা করলেই নিজেকে আরও ভালো ব্যক্তি হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব।
জাফরান