অনেক সময় আমাদের সন্তানরা সামাজিক বা মানসিক চাপের কারণে নিজেদের অনুভূতি নিয়ে কথা বলতে সংকোচ বোধ করে। তারা মনে করে তাদের সমস্যা অন্য কেউ বুঝবে না।
আপনার সন্তান কেন খোলামেলা কথা বলতে চায় না, এর কয়েকটি কারণ হতে পারে। এখানে প্রধান কারণগুলো ব্যাখ্যা করা হলো:
১. যখন শিশুরা বিচার বা সমালোচনার ভয় পায়। তখন তারা তাদের অনুভূতি গোপন করতে পারে। এই ব্যাপারটি যাতে না ঘটে সেজন্য, একটি নিরপেক্ষ এবং নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করুন। যেখানে তারা কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবে। শিশুদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন এবং যদি তারা এমন কিছু বলে যা আপনার মতের সাথে মিলে না, তাহলে তাদের উৎসাহিত করুন ইতিবাচক প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে। এভাবে, তারা খোলামেলা হওয়ার সাহস পাবে এবং নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে শিখবে।
২.সামাজিক প্রভাবের কারণে অনেক সময় বয়স্ক শিশু-কিশোররা পরিবার থেকে বেশি বন্ধুবান্ধবের উপর নির্ভর করতে পারে। তাদের গোপনীয়তাকে সম্মান করুন, তবে তাদের জানিয়ে দিন যে আপনি সবসময় তাদের সাথে কথা বলার জন্য প্রস্তুত। তাদের জীবনে যুক্ত থাকুন। তবে অতিরিক্ত হস্তক্ষেপ বা চাপ সৃষ্টি করবেন না।
৩. শিশুরা ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে লজ্জা পেতে পারে। শরীরের পরিবর্তন বা সম্পর্ক নিয়ে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সংবেদনশীল বিষয়গুলো নিয়ে আলাপ-আলোচনা স্বাভাবিক করে তুলুন । তাদের বুঝিয়ে দিন যে ,লজ্জা ভালো গুণ । তবে খোলামেলা ও সৎ হওয়ার জন্য উৎসাহিত করুন।
৪.বিশ্বাসের অভাব
মাতা-পিতার সাথে দুর্বল সম্পর্কও খোলামেলা আলোচনা করার ক্ষেত্রে বাধা হতে পারে। একসাথে সুন্দর সময় কাটানএবং তাদের প্রিয় কার্যকলাপে আনন্দিত হোন। সেইসাথে খোলামেলা যোগাযোগের মাধ্যমে বিশ্বাস ও সহানুভূতি বাড়িয়ে সম্পর্ক উন্নত করুন।
৫.অনুভূতি প্রকাশে অসুবিধা
শিশুরা কখনও কখনও অনুভূতি প্রকাশে বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে। এটি কাটিয়ে উঠতে তাদের আবেগজনিত শব্দ শেখানো, তাদের রাগ, দুঃখ বা উত্তেজনার মতো অনুভূতিগুলি চিহ্নিত করা। এবং সেগুলোকে মেনে নেওয়ার মাধ্যমে সহায়তা করা।
৬.তাদের স্বাধীনতাকে সম্মান করুন
কিশোর-কিশোরীরা স্বাধীনতাকে মূল্য দেয় এবং আবেগগতভাবে সরে যেতে পারে। তাদের বিকাশের জন্য সুযোগ দিন এবং তাদের সাথে খোলামেলা যোগাযোগ রাখুন। তাদের স্বাধীনতাকে সম্মান করুন উপলব্ধ করুণ এবং প্রয়োজন হলে সমর্থন প্রদান করুন।
সাইদুর