ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

পুরুষদের নীরব হতাশার ৭টি সঙ্কেত: ভেতরের গল্প জানুন

প্রকাশিত: ১৪:৫৮, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪; আপডেট: ১৪:৫৯, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

পুরুষদের নীরব হতাশার ৭টি সঙ্কেত: ভেতরের গল্প জানুন

জীবন সবসময় প্রত্যাশা অনুযায়ী এগোয় না। অনেক পুরুষ নীরবে বয়ে বেড়ান চাপ, অপূর্ণ স্বপ্ন এবং দৈনন্দিন জীবনের প্রতিকূলতার ভার। এদের জীবনে সবকিছু ‘ঠিকঠাক’ মনে হলেও ভেতরে ভেতরে কিছু একটা যেন অনুপস্থিত।

এ ধরনের হতাশা সহজে চোখে পড়ে না। এটি লুকিয়ে থাকে নির্দোষ বা সাধারণ মনে হওয়া কিছু আচরণের আড়ালে। আজ আমরা এমনই ৭টি আচরণ নিয়ে কথা বলব, যা নীরব হতাশায় ভুগতে থাকা পুরুষদের মধ্যে দেখা যায়।

১. আগ্রহ ও উদ্যম হারানো

আগ্রহ ও শখ আমাদের জীবনে রঙ যোগ করে। কিন্তু যখন কেউ তাদের প্রিয় কাজগুলো থেকে সরে যায় বা এগুলোতে আর আনন্দ খুঁজে পায় না, তখন এটি ভেতরের এক ধরণের অতৃপ্তির ইঙ্গিত দেয়।

২. বিরক্তিভাব বৃদ্ধি

ছোটখাটো বিষয়েও অতিরিক্ত রাগ বা বিরক্তি প্রকাশ করা হতে পারে গভীর আবেগজনিত টানাপোড়েনের লক্ষণ। এটি হয়ত সাময়িক চাপের জন্য নয়, বরং ভেতরে জমে থাকা অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ। এমন পরিস্থিতি ধৈর্য ও সহানুভূতির মাধ্যমে সামলানো জরুরি।

৩. ব্যক্তিগত যত্নে অবহেলা

নিজের যত্ন নেওয়া বা পরিচ্ছন্ন থাকার অভ্যাসে অবহেলা দেখা যায়। এটি অলসতার কারণে নয়, বরং মানসিক চাপ এবং জীবনের প্রতি আগ্রহের অভাবের বহিঃপ্রকাশ।

৪. প্রিয়জনদের থেকে দূরে থাকা

যারা আমাদের সবচেয়ে বেশি ভালোবাসে, তাদের থেকেই দূরে সরে যাওয়া হতাশার আরেকটি লক্ষণ। এটি সম্পর্কের প্রতি ভালোবাসা কমে যাওয়া নয়, বরং তাদের কষ্ট না দিতে চাওয়া বা নিজের কষ্ট প্রকাশ করতে না পারার কারণে হয়।

৫. খাবারে অনীহা

খাওয়া শুধুমাত্র শারীরিক চাহিদা পূরণের মাধ্যম নয়; এটি আনন্দ, আরাম এবং ভালবাসার অভিব্যক্তি। যেকোনো খাবারের প্রতি আগ্রহ হারানো মানসিক সমস্যার একটি সরাসরি ইঙ্গিত হতে পারে।

৬. উদ্যমের অভাব

কর্মক্ষমতা কমে যাওয়া, কাজে আগ্রহ হারানো, এবং সবকিছু ক্লান্তিকর মনে হওয়া এগুলো অলসতার লক্ষণ নয়। বরং এগুলো অভ্যন্তরীণ হতাশার স্পষ্ট ইঙ্গিত।

৭. একাকীত্ব বেছে নেওয়া

প্রয়োজনীয় একাকীত্ব আর নিজেকে আলাদা করে রাখা—দুটোর মধ্যে পার্থক্য আছে। নীরব হতাশায় ভোগা পুরুষরা প্রায়ই সামাজিক সম্পর্ক এড়িয়ে চলেন, যা তাদের আরও বিচ্ছিন্ন করে তোলে।

এই আচরণগুলো চিহ্নিত করা মানে কাউকে দোষারোপ করা নয়। এটি বোঝা এবং সহানুভূতির মাধ্যমে তাদের পাশে থাকা। ছোট ছোট সংকেতগুলোর প্রতি খেয়াল রেখে, ধৈর্য ও ভালোবাসা দিয়ে তাদের সাহায্য করুন।

প্রতিটি দিনকে সুন্দর করার জন্য শুধু একটু শোনার মনোভাবই অনেক সময় যথেষ্ট।

জাফরান

×