ঘরের মেঝেতে খালি পায়ে হাটা
অনেকেই মনে করেন, সারাবছরই ঘরের ভিতরেও জুতা পরে হাঁটা উচিত। কিন্তু খালি পায়ে হাঁটার উপকারিতাও আছে। তবে সব কিছুর মতো খালি পায়ে হাঁটার সুবিধা ও অসুবিধা দুটোই আছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কারও কারও ক্ষেত্রে ঘরের মধ্যেও খালি পায়ে হাঁটা উচিত নয়। এতে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন-
হাঁটু বা পিঠে ব্যথা থাকলে: খালি পায়ে হাঁটলে পায়ের ‘ফাংশন’ বাধাপ্রাপ্ত হয়। খালি পায়ে হাঁটার অভ্যাস হাঁটু ও পিঠে ব্যথার কারণ হতে পারে। এমনকী পায়ের বায়োমেকানিকাল ফাংশনও ঝামেলায় পড়ে। শক্ত মেঝেতে খালি পায়ে হাঁটার ফলে পা’সহ শরীরের বাকি অংশে প্রচণ্ড চাপ পড়ে। দীর্ঘ দিন খালি পায়ে হাঁটার কারণে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্যথা হতে পারে।
৫০ বছরের বেশি বয়সি নারীদের: মধ্যবয়সী নারীদেরও বাড়িতে খালি পায়ে হাঁটা ঠিক নয়। এর কারণ নারীদের বয়স ৫০ বছর পার হলে তাদের পায়ের তলার চর্বিযুক্ত প্যাড নষ্ট হতে থাকে। এর ফলে এ সময় খালি পায়ে হাঁটলে হাঁটু, নিতম্ব ও শরীরের নীচের পিঠে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ভারসাম্যহীনতার সমস্যা থাকলে: শক্ত মেঝেতে খালি পায়ে হাঁটার ফলে সৃষ্ট ভারসাম্যহীনতার কারণে পায়ের বিকৃতি ঘটতে পারে। এতে গোড়ালির ব্যথা, পোস্টেরিয়র টিবিয়াল টেন্ডোনাইটিস ও অ্যাকিলিস টেন্ডোনাইটিসের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে: খালি পায়ে হাঁটলে পা খুব সহজেই ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের সংস্পর্শে আসে। যা ত্বক ও নখকে সংক্রমিত করতে পারে। জীবণুরা প্রথমে ত্বক ও পরে নখকে সংক্রামিত করে। পরে পায়ের আঙুল ও ত্বকে ব্যথা হয় এবং ত্বকে ফাটল ধরে।
ডায়াবেটিস থাকলে: এই সমস্যা থাকলে খালি পায়ে হাঁটাহাঁটি করা উচিত নয়। ছত্রাকের মতো ত্বকের সংক্রমণ ডায়াবেটিস রোগীর হাইড্রেশনকে প্রভাবিত করতে পারে। যা ত্বকের টেক্সচার, টোন পরিবর্তন করে। এর ফলে অন্যান্য সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। যেহেতু ডায়াবেটিস রোগীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাই বিভিন্ন সংক্রমণের বিরুদ্ধে তাদের লড়াই করা কঠিন হয়ে পড়ে।
তবে খালি পায়ে হাঁটা সব সময় খারাপ নয়। কার্পেট, ঘাস বা বালির উপর খালি পায়ে হাঁটা অনেক উপকারী। তবে শক্ত মেঝেতে সেটি কাজের নয়। আর যে কোনও ধরনের সমস্যায় সব সময়েই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াটাও জরুরি।
শহীদ