দুপুরে ঘুম
ঘুমের সময় কখন? এর উত্তর একজন শিশুরও জানা। ঘুমের সময় হলো রাত। তাহলে আমরা দুপুরে ঘুমাই কেন? অবশ্য দুপুরে ঘুমানোর সুযোগ অনেকেরই হয় না। যারা এসময়টাতে বাড়িতে থাকেন, বিশেষ করে ছুটির দিনগুলোতে আয়েশ করে দুপুরের খাবার খেয়ে বিছানায় একটু গড়িয়ে নেওয়া কিংবা কিছুটা সময় ঘুমিয়ে নিতে পছন্দ করেন অনেকে। একে তাই ভাতঘুমও বলা হয়। কিন্তু দুপুরের এই ঘুম কি উপকারী? নাকি ক্ষতিকর? চলুন জেনে নেওয়া যাক-
দুপুরে ঘুমানোর উপকারিতা-
১. শরীরের শক্তি পুনরুদ্ধার: দুপুরে সংক্ষিপ্ত ঘুম শরীর ও মনকে সতেজ করে। এটি শক্তি পুনরুদ্ধারে সাহায্য করে এবং কর্মক্ষমতা বাড়ায়।
২. মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি: গবেষণায় দেখা গেছে, দুপুরে ২০-৩০ মিনিটের ঘুম স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে এবং মনোযোগ বাড়াতে সহায়ক।
৩. মনস্তাত্ত্বিক স্বাস্থ্য: দুপুরে ঘুম ক্লান্তি দূর করে এবং মানসিক চাপ কমায়।
৪. হৃদ্রোগের ঝুঁকি হ্রাস: নিয়মিত দুপুরে ঘুমানোর মাধ্যমে রক্তচাপ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, যা হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে।
সতর্কতা-
১. অতিরিক্ত ঘুমের সমস্যা: দুপুরে দীর্ঘ সময় (১ ঘন্টা বা তার বেশি) ঘুমালে মস্তিষ্কে ঝিমঝিম ভাব হতে পারে এবং ঘুম থেকে উঠার পর আরও ক্লান্ত লাগতে পারে।
২. রাতের ঘুমে বিঘ্ন: দুপুরে বেশি ঘুমালে রাতে ঘুমাতে অসুবিধা হতে পারে, যা দীর্ঘমেয়াদে ঘুমের চক্রের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।
৩. ওজন বৃদ্ধি: অত্যধিক দুপুরের ঘুম এবং অল্প শারীরিক কার্যক্রম ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে।
সঠিক উপায়ে দুপুরে ঘুমানো-
১. সময়সীমা নির্ধারণ করুন: ২০-৩০ মিনিটের মধ্যেই ঘুম শেষ করুন।
২. সময় নির্বাচন করুন: দুপুর ১টা থেকে ৩টার মধ্যে ঘুমানো উত্তম।
৩. পরিবেশ তৈরি করুন: শান্ত, অন্ধকার, এবং আরামদায়ক স্থানে ঘুমান।
সার্বিকভাবে, যদি দুপুরে ঘুমানো আপনার জীবনযাত্রায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলে, তবে এটি উপকারী। তবে অতিরিক্ত বা অনিয়ন্ত্রিত ঘুমের ফলে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।
আর কে