ছবি: সংগৃহীত
শৃঙ্খলা এবং আত্মনিয়ন্ত্রণের মধ্যে একটি স্পষ্ট পার্থক্য রয়েছে। এই পার্থক্যটা ব্যক্তির কাজের মধ্যে প্রতিফলিত হয়।
যখন কোনো পুরুষের মাঝে শৃঙ্খলা এবং আত্মনিয়ন্ত্রণের অভাব থাকে, তার আচরণে তা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এই আচরণগুলি একদিনে জন্ম নেয় না। বরং এটি সময়ের সাথে তৈরি হওয়া অভ্যাস।
এই আচরণগুলোই তাকে বুঝতে সাহায্য করবে যে তার শৃঙ্খলা এবং আত্মনিয়ন্ত্রণ কতটা কম। কোনো পুরুষের মাঝে এই ১০টি আচরণ দেখলে বোঝা যাবে তার শৃঙ্খলা এবং আত্মনিয়ন্ত্রণ খুবই কম:
১) তাকে সবসময় পিছিয়ে যেতে দেখা যায়
আমরা সবাই কখনও কখনও পিছিয়ে যাই। তবে যখন এটি জীবনের অংশ হয়ে ওঠে, তখন এটি একটি বড় সংকেত।
পিছিয়ে যাওয়া আসলে কঠিন, অস্বস্তিকর বা অমনোযোগী কাজগুলি এড়িয়ে চলার একটি উপায়। যদি কোনো পুরুষ প্রতিনিয়ত কাজগুলো পরে করার চিন্তা করে, তাহলে এটি তার শৃঙ্খলা এবং আত্মনিয়ন্ত্রণের অভাবের ইঙ্গিত।
২) সে তৎক্ষণাৎ সন্তুষ্টি থেকে বিরত থাকতে পারে না
শৃঙ্খলা এবং আত্মনিয়ন্ত্রণের অভাবের আরেকটি বড় লক্ষণ হল তৎক্ষণাৎ সন্তুষ্টি থেকে বিরত থাকতে না পারা।
একজন পুরুষ যদি তৎক্ষণাৎ সুখের জন্য দীর্ঘমেয়াদী ভালো ফলাফলকে ত্যাগ করে, তাহলে সে শৃঙ্খলা এবং আত্মনিয়ন্ত্রণের অভাব দেখাচ্ছে।
৩) সে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে
যখন কোনো পুরুষ নিয়মিতভাবে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে, এটি কেবল অন্যের প্রতি অসম্মান নয়, তার শৃঙ্খলা এবং আত্মনিয়ন্ত্রণের অভাবের বড় প্রমাণ।
শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হলে পূর্বের সিদ্ধান্ত পূর্ণ করতে হয়। যদি কেউ প্রতিশ্রুতি পূর্ণ না করে, সে তার নিজের আস্থা এবং শৃঙ্খলার অভাব দেখাচ্ছে।
৪) সে দায়িত্ব এড়ায়
যখন কোনো পুরুষ তার কাজের বা সিদ্ধান্তের ফলাফল থেকে পালিয়ে যায়, এটা তার শৃঙ্খলা এবং আত্মনিয়ন্ত্রণের অভাবের ইঙ্গিত। এটি একজন পুরুষের ম্যাচুরিটি ও শৃঙ্খলার অভাবের চিহ্ন।
৫) সে সবসময় দেরি করে
চিরকাল দেরি করা কেবল খারাপ সময়ের হিসেব নয়। এটি শৃঙ্খলা এবং আত্মনিয়ন্ত্রণের অভাবের একটি স্পষ্ট সংকেত। প্রতিটি সভা, ঘটনা বা কাজের জন্য যখন সে সময়মতো পৌঁছাতে পারে না, এটি তার শৃঙ্খলা অভাবের চিহ্ন।
৬) সে তার অনুভূতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না
অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো নিজের অনুভূতিকে নিয়ন্ত্রণ করা। যখন একজন পুরুষ তার অনুভূতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়, তার মানসিক অবস্থা চরমভাবে অস্থিতিশীল হয়।
৭) সে ধারাবাহিক হতে পারে না
ধারাবাহিকতা শৃঙ্খলা এবং আত্মনিয়ন্ত্রণের অন্যতম মূল উপাদান। যদি কোনো পুরুষ ধারাবাহিকভাবে একই কাজ করে না বা সিদ্ধান্তে অটল না থাকে, তা শৃঙ্খলার অভাবের একটি বড় প্রমাণ।
৮) সে প্রায়ই অলস থাকে
অলস সময় অতিবাহিত করা সবসময় আরামদায়ক মনে হতে পারে, তবে এটি শৃঙ্খলা এবং আত্মনিয়ন্ত্রণের অভাবের চিহ্ন হতে পারে। যখন একজন পুরুষ কোনও পরিকল্পনা বা লক্ষ্য ছাড়া সময় কাটায়, তা তার আত্মনিয়ন্ত্রণের অভাবের ইঙ্গিত দেয়।
৯) তার আর্থিক অভ্যাস খারাপ
অর্থ ব্যবস্থাপনা শৃঙ্খলা এবং আত্মনিয়ন্ত্রণের একটি স্পষ্ট সূচক। যদি কোনো পুরুষ খরচের প্রতি অবহেলা করে, সঞ্চয় না করে, বা ধার জমাতে থাকে, এটি তার শৃঙ্খলার অভাবের একটি বড় ইঙ্গিত।
১০) সে আত্মসচেতনতা থেকে বঞ্চিত
আত্মসচেতনতা শৃঙ্খলা এবং আত্মনিয়ন্ত্রণের ভিত্তি। যদি কোনো পুরুষ নিজেকে পর্যবেক্ষণ করতে না পারে বা নিজের ভুল বুঝতে না পারে, তাহলে এটি শৃঙ্খলার অভাবের সর্বোচ্চ চিহ্ন।
মেহেদী কাউসার