ছবি: সংগৃহীত।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং সুস্থ থাকতে, আমাদের খাদ্যাভ্যাসে যে পরিবর্তন আনা দরকার, তার মধ্যে অন্যতম হলো কার্বোহাইড্রেটের সঠিক উৎস নির্বাচন। অনেকেই বিশ্বাস করেন, কার্বস অর্থাৎ শর্করা খেলে ওজন বেড়ে যাবে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে, সব ধরনের কার্বস একরকম নয়। স্বাস্থ্যকর কার্বস এবং জাঙ্ক ফুডের মধ্যে পার্থক্য জানলে, আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন কোন ধরনের খাবার আপনার জন্য উপকারী।
যে স্বাস্থ্যকর কার্বসগুলো বেছে নিবেন
স্বাস্থ্যকর কার্বস মূলত সেগুলো যা আমাদের শরীরকে পর্যাপ্ত শক্তি সরবরাহ করে এবং দীর্ঘ সময় ধরে তৃপ্তি দেয়। এই ধরনের কার্বোহাইড্রেট খেলে হজমের সমস্যা কমে, শরীরের শক্তির উৎস ঠিক থাকে এবং মেটাবলিজম ভালো থাকে। স্বাস্থ্যকর কার্বসের ভালো উৎস হচ্ছে:
- সবজি ও ফলমূল: এইসব খাবারে ফাইবার, ভিটামিন, এবং খনিজ রয়েছে যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
- বিনস (বীজ): মসুর, রাজমা, ছোলা, কিডনি বিনসহ অন্যান্য শস্য খাবারে উচ্চমানের প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর কার্বস থাকে।
- হোল গ্রেইন: যেমন ব্রাউন রাইস, ওটস, কুইনোয়া ইত্যাদি, যা শরীরের জন্য দীর্ঘস্থায়ী শক্তি সরবরাহ করে।
- শস্য ও মটরশুঁটি: এগুলোতে থাকা ফাইবার আপনার হজম প্রক্রিয়া সহজ করে এবং দীর্ঘ সময় তৃপ্তি দেয়।
যে জাঙ্ক ফুডগুলো বাদ দিবেন
জাঙ্ক ফুডের মধ্যে এমন সব কার্বোহাইড্রেট থাকে, যা শরীরে দ্রুত শর্করা বৃদ্ধি করে। যা শরীরের পক্ষে দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিকর। এই ধরনের খাবার সাধারণত প্যাকেটজাত এবং প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য হিসেবে পাওয়া যায়, যেগুলোর মধ্যে থাকে অতিরিক্ত চিনি, লবণ, এবং পরিশোধিত শর্করা, যা স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। জাঙ্ক ফুডের কিছু উদাহরণ:
- ফাস্ট ফুড: পিজ্জা, বার্গার, ফ্রাইড চিকেন ইত্যাদি।
- সোডা ও সুগার স্ন্যাকস: কোমল পানীয়, চকলেট, ক্যান্ডি ইত্যাদি।
- প্যাকেটজাত খাবার: কেক, বিস্কুট, প্যাকেট স্ন্যাকস ইত্যাদি, যেগুলোর মধ্যে অতিরিক্ত চিনি ও কৃত্রিম উপাদান থাকে।
যেহেতু আমাদের খাদ্যাভ্যাসের উপরই আমাদের শরীরের স্বাস্থ্যের অনেকটা নির্ভর করে, তাই স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে আপনি শুধু সঠিক ওজন বজায় রাখবেন না, বরং জীবনের মানও উন্নত করতে পারবেন।
নুসরাত