প্রতীকি ছবি
সফল হওয়া কঠিন কাজ নয়। তবে অসাধারণ সফল ক্যারিয়ার গড়ে তোলা সহজ কাজ নয়। আপনি সফল হয়ে উঠবেন কিনা, তা কেউ বলে দিতে পারে না। তবে আপনার মাঝে কিছু বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পাবে। এগুলোকে অসাধারণ সাফল্যের লক্ষণ হিসেবে ধরে নিতে পারেন। এখানে জেনে নিন এমনই ৯টি লক্ষন।
ব্যর্থতাকে কাটিয়ে ওঠা:
আমরা প্রায়ই কারো কোন কিছু জেতা দিয়ে তার সাফল্য নির্ধারণ করি। তবে কিছু মানুষ কখনো সাফল্যে পৌঁছানোর আগেই মুখ থুবড়ে পড়ে। তবে ব্যর্থতাকে পাশ কাটাতে পারলেই জীবনে সফল হওয়া সম্ভব।
কৌতুহলী হওয়া:
যেকোন বিষয়ে কৌতুহল আপনাকে অনেকদূর নিয়ে যাবে। যেমন- নিউটনের মাথায় আপেল কেন পড়লো এটা নিয়ে নিউটন কৌতুহলী না হলে হয়তো বিজ্ঞানের এত চমৎকার আবিষ্কার আমরা পেতাম না৷ তাই নিজের কাজের বিষয়ে কৌতুহল আপনাকে নতুন নতুন জিনিস জানতে এবং শিখতে সাহায্য করবে।
কঠোর পরিশ্রম:
সফলতা কখনো এক রাতে আসে না। অনেক সময়, ইফোর্ট আর অনেক উথান পতনের পর সফলতা আসে। এমনকি পিরামিড ও একদিনে হয় নি। পৃথিবীর কোন ভালো জিনিসই একদিনে হয় নি। তাই ভেঙে না পড়ে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। কথায় আছে পরিশ্রম সৌভাগ্যের চাবিকাঠি। যে যত পরিশ্রমী তার জন্য সফলতা তত দ্রুত ধরা দেয়।
পরিবর্তন গ্রহন করা:
পরিবর্তন সবসময় সুখকর হয় না। পরিবর্তন মানেই নতুন কিছু। আমাদের কমফোর্ট জোন থেকে বের হয়ে নতুন কিছুর সাথে মানিয়ে নিতে হয়। আর এই পরিবর্তনের ধারাকে মেনে নিয়ে যারা নিজেকে পরিবর্তন করতে পারে জীবনে তারাই সফল হয়। তাদের কাছে কোন বাঁধাই আর বাঁধা হয়ে থাকে না।
আমাদের জীবনের সব স্বপ্নই হয়তো পূরণ হবে না। কিছু স্বপ্নের অপমৃত্যু ঘটবে। অপ্রাপ্তির কষাঘাতে জীবন থেকে পালাতে ইচ্ছে করবে খুব। সেই সময়টাতে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। হতাশাকে কোনোভাবেই প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। আত্মবিশ্বাস আর ধৈর্যধারণ করে এগিয়ে যেতে হবে। পৃথিবীতে যারাই সফল হয়েছেন তাদের সকলের জীবনের ইতিহাসই কণ্টকাপূর্ণ। কিন্তু তারা থেমে যাননি বলেই অন্যের কাছে অনুকরণীয় হতে পেরেছেন। কথায় আছে মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়। তাই স্বপ্ন দেখতে হবে অনেক বড়।
সহানুভূতিশীল হওয়া:
যারা সফল তারা দারুণ সহানুভূতিশীল। পরিচিত বা অপরিচিত সবার ক্ষেত্রে সহানুভূতি প্রদর্শন করেন তারা। আর অসাধারণ সফলতার দিকে যারা এগিয়ে যান তাদের সহানুভূতি মেকি নয়।
ঝুঁকি নিতে পিছ পা না হওয়া:
জীবনে ঝুঁকি নিতে না পারলে সফলতা ধরা দেয় না। সফলতা সোনার হরিণের মতো। তাকে ধরার জন্য ঝুঁকি নিতে হবে। ঝুঁকি পাবার সম্ভবনা থাকতেও পারে না ও থাকতে পারে। পাব না ভেবে ঝুঁকি না নিলে সোনার হরিণ অধরাই থেকে যাবে৷
ইতিবাচক থাকা:
সফল ব্যক্তিরা সবসময় ইতিবাচক মনোভাব ধরে রাখেন। নিজেকে বিশেষ ব্যক্তি হিসেবে মনে করেন না তারা। বরং কাজে সফল হতে বিশেষ পন্থা অবলম্বনের চেষ্টা তাদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
প্যাশনেট থাকা:
নিজের কাজের প্রতি সফলরা বরাবরই প্যাশনেট। শুধুমাত্র টাকা বা খ্যাতির চক্করে নয়, তারা কাজ করে নিজেদের ভালো লাগার জায়গা থেকে। তাই কাজের আউটপুট ও আসে চমৎকার।
ইসরাত