সংগৃহীত ছবি।
এইডস (AIDS) বর্তমানে একটি বৈশ্বিক সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত হলেও, কিছু সতর্কতা অবলম্বন করে এর থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। সচেতনতা এবং সঠিক পদক্ষেপ নিলে HIV (হিউম্যান ইমিউনোডেফিশিয়েন্সি ভাইরাস) আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমানো যায়। বিশেষ করে নিরাপদ যৌন সম্পর্ক, স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপন, এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চললে এইডস মুক্ত থাকা সম্ভব। আজকের প্রতিবেদনে তুলে ধরা হচ্ছে ৮টি সতর্কতা যা অনুসরণ করলে এইডস থেকে নিরাপদ থাকা যাবে।
১. নিরাপদ যৌন সম্পর্ক:
যখনই যৌন সম্পর্ক স্থাপন করবেন, কনডম ব্যবহার করুন। এটি HIV সহ অন্যান্য যৌনবাহিত রোগ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। অপরিচিত বা একাধিক সঙ্গীর সাথে সম্পর্ক স্থাপন থেকে বিরত থাকুন।
২. রক্তের মাধ্যমে সংক্রমণ এড়িয়ে চলুন:
সর্বদা সুনিশ্চিত করুন যে, কোনো রক্ত পরীক্ষা বা ইনজেকশন গ্রহণের সময় সুষ্ঠু ও নিরাপদ উপায়ে চিকিৎসা করা হচ্ছে। একাধিক ব্যবহারযোগ্য যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
৩. স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন:
সুস্থ থাকতে সুষম খাদ্য গ্রহণ এবং নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করুন। এটি আপনার শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে, যা এইডসের মতো রোগ থেকে সুরক্ষা প্রদান করতে সহায়তা করবে।
৪. নিয়মিত এইচ.আই.ভি পরীক্ষা করান:
এইচ.আই.ভি পরীক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনাকে জানাবে যদি আপনি এইচ.আই.ভি আক্রান্ত হয়ে থাকেন। এর ফলে আপনি চিকিৎসা শুরু করার সুযোগ পাবেন।
৫. একক সঙ্গীর সাথে সম্পর্ক বজায় রাখুন:
একজন সঙ্গী থাকলেই এইচ.আই.ভি সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে। তাই শুধুমাত্র বিশ্বস্ত সঙ্গীর সাথে যৌন সম্পর্ক বজায় রাখুন।
৬. ড্রাগ ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করুন:
যারা ইনজেকশন ড্রাগ ব্যবহার করেন, তাদের জন্য এইচ.আই.ভি এর ঝুঁকি অনেক বেশি। একাধিক মানুষের সঙ্গে একটি সিরিঞ্জ ব্যবহার করা থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকুন।
৭. স্বাস্থ্যপরিষেবা গ্রহণে সতর্কতা:
কোনো ধরনের সার্জারি বা চিকিৎসা গ্রহণের পূর্বে স্বাস্থ্য পরিষেবার সঠিকতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ থেকে বিরত থাকুন।
৮. পরিবার ও সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধি করুন:
এইডস সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে পরিবার ও সমাজের সদস্যদের মধ্যে আলোচনা ও শিক্ষা প্রচার করুন। এর মাধ্যমে আপনি শুধু নিজের নয়, অন্যদেরও নিরাপদ রাখতে পারবেন।
এই সতর্কতাগুলি অনুসরণ করলে এইচ.আই.ভি এবং এইডস আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমানো সম্ভব। এইডস মুক্ত জীবনের জন্য সচেতনতা এবং সঠিক পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
নুসরাত