ছবি: সংগৃহীত
মানবদেহে ক্যালসিয়াম একটি অপরিহার্য খনিজ উপাদান । শরীরের হাড় এবং দাঁত শক্তিশালী করতে ক্যালসিয়ামের কোনো বিকল্প হয় না। এছাড়া মস্তিষ্ক এবং শরীরের অন্যান্য অংশের মধ্যে সুস্থ যোগাযোগ বজায় রাখতেও ক্যালসিয়ামের প্রয়োজন।
পেশীর সংকোচন এবং কার্ডিওভাসকুলার ফাংশনে ক্যালসিয়ামের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এমনকি রক্ত জমাট বাঁধা, স্বাভাবিক হৃদস্পন্দন বজায় রাখা, স্নায়ু আবেগ সঞ্চালন ইত্যাদি কাজেও প্রয়োজন এই অপরিহার্য খনিজটি। তাই শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হতে দেওয়া চলবে না। আর একান্তই যদি ঘাটতি দেখা দেয়, তাহলে এই পানীয়গুলোতে চুমুক দিতে পারেন।
১. প্ল্যান্ট বেসড দুধ
আমন্ড, সয়া, এবং ওট মিল্কের মতো উদ্ভিজ্জ দুধ ক্যালসিয়াম দিয়ে ফোর্টিফাই করা হয়। যারা দুগ্ধজাত খাবার এড়িয়ে চলেন, তাদের জন্য এটি ক্যালসিয়াম পাওয়ার উপযুক্ত বিকল্প।
২. গরুর দুধ
গরুর দুধ ক্যালসিয়ামের অন্যতম সেরা উৎস। এটি হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৩. শাকসবজির স্মুদি
পালং শাক দিয়ে তৈরি স্মুদি ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ। এতে ফল মিশিয়ে বাড়তি পুষ্টি যোগ করা সম্ভব।
৪. টোফু স্মুদি
ক্যালসিয়াম সালফেট দিয়ে তৈরি টোফুতে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকে। এটি স্মুদিতে মিশিয়ে খেলে ক্যালসিয়াম ঘাটতি পূরণ করা সহজ।
৫. নারকেলের পানি
নারকেলের পানিতে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ খুব বেশি না হলেও এটি মাঝারি মাত্রার ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি পটাশিয়াম ও ইলেকট্রোলাইট সরবরাহ করে।
৬. হাড়ের স্যুপ
প্রাণীর হাড় সেদ্ধ করে তৈরি করা বোন ব্রথ ক্যালসিয়াম ও অন্যান্য খনিজে সমৃদ্ধ, যা হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়ক।
৭. তিলের দুধ
তিলে প্রাকৃতিকভাবে ক্যালসিয়াম থাকে। তিলের দুধ ক্যালসিয়াম বাড়ানোর জন্য দুগ্ধজাত পণ্যের একটি ভালো বিকল্প।
৮. হারবাল চা
কিছু হারবাল চা, বিশেষত নেটল চা, ক্যালসিয়াম এবং হাড় মজবুত করার জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য খনিজে পরিপূর্ণ।
শরীরের ক্যালসিয়ামের মাত্রা ঠিক রাখতে এগুলোর মধ্যে থেকে নিজের পছন্দমতো পানীয় বেছে নিন এবং নিয়মিত সেবন করুন।
তাবিব