পায়ের মাংসপেশিতে টান লাগা এটি সাধারণত ক্র্যাম্প বা মাংসপেশির আকস্মিক সংকোচন হিসেবে পরিচিত। মাংসপেশির টানকে চিকিৎসা পরিভাষায় মাসল পুল, মাসল সোরনেস, স্ট্রেইন, ক্র্যাম্প, স্প্যাজম ইত্যাদি বলা হয়ে থাকে। এর কয়েকটি প্রধান কারণ হলো:
১. পানিশূন্যতা (Dehydration):যথেষ্ট পানি না খেলে শরীরের ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য নষ্ট হয়, যা মাংসপেশির সংকোচন ঘটাতে পারে।
২. ইলেক্ট্রোলাইটের ঘাটতি: শরীরে পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, বা ম্যাগনেসিয়ামের অভাব হলে পেশিতে টান লাগতে পারে।
৩. অতিরিক্ত পরিশ্রম বা ব্যায়াম:পেশিগুলোর অতিরিক্ত ব্যবহার বা ভারী ব্যায়ামের কারণে টান লাগতে পারে।
৪. দীর্ঘ সময় একই ভঙ্গিতে থাকা:অল্প সময়ে বেশি হাটাহাটি করা বা একই ভঙ্গিতে বসে থাকলে মাংসপেশিতে চাপ পড়ে।
৫. স্নায়ুর সমস্যা:স্নায়ুর কোনো অসুখ বা অস্বাভাবিকতা থাকলে মাংসপেশিতে টান লাগতে পারে
হঠাৎ পায়ের মাংসপেশিতে টান লাগলে (ক্র্যাম্প) তা খুবই যন্ত্রণাদায়ক হতে পারে। দ্রুত আরাম পেতে আপনি নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করতে পারেন:
১. মাংসপেশি স্ট্রেচ করুন যেখানে টান লেগেছে, সেই পেশি ধীরে ধীরে স্ট্রেচ করুন।
উদাহরণস্বরূপ, যদি পায়ের পেছনের অংশে (ক্যাফ মাসল) টান লাগে, তাহলে পা সোজা করে বসে পায়ের আঙুলগুলো নিজের দিকে টানুন।
২. ম্যাসাজ করুন: হালকা হাতে আক্রান্ত অংশে ম্যাসাজ করুন। এতে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে এবং ব্যথা কমবে।
৩. গরম বা ঠান্ডা প্যাক ব্যবহার করুন: গরম পানি বা হট ওয়াটার ব্যাগ দিয়ে আক্রান্ত জায়গায় সেক দিন।
যদি ফুলে যায়, তাহলে ঠান্ডা প্যাক ব্যবহার করতে পারেন।
৪. পর্যাপ্ত পানি পান করুন: ডিহাইড্রেশন অনেক সময় মাংসপেশিতে টানের কারণ হতে পারে। তাই পানি পান করুন।
৫. চলাফেরা করুন: ধীরে ধীরে হাঁটুন। এটি মাংসপেশি শিথিল করতে সাহায্য করবে।
৬. ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার : কলা, শাকসবজি, বাদাম ইত্যাদি খেতে পারেন। এগুলো মাংসপেশি শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।
যদি সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হয় বা ঘন ঘন হয়:
চিকিৎসকের পরামর্শ নিন: এটি ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্যহীনতা বা অন্য কোনো শারীরিক সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।শরীরচর্চার আগে ভালোভাবে স্ট্রেচিং এবং পর্যাপ্ত পানি পান করলে এ সমস্যা এড়ানো যায়।
জাফরান