ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

ঠান্ডা-সর্দিতে নাক বন্ধ? সমাধানের ৭ উপায়

প্রকাশিত: ১৮:৩৫, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

ঠান্ডা-সর্দিতে নাক বন্ধ? সমাধানের ৭ উপায়

সংগৃহীত ছবি।

শীতকালে সর্দি-কাশি হতে পারে যেটা খুবই সাধারণ সমস্যা, কিন্তু যখন নাক বন্ধ হয়ে যায় তখন অনেক অস্বস্তি তৈরী হয়। নাক বন্ধ হলে শ্বাস নিতে কষ্ট হয় এবং সার্বিক স্বাস্থ্যের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তবে চিন্তা করার কিছু নেই, কারণ নাক বন্ধ হওয়া সমস্যার কিছু সহজ ও কার্যকর সমাধান রয়েছে।

নিচে এমন ৭টি উপায় দেয়া হলো, যা আপনার নাক খুলতে সাহায্য করতে পারে এবং আপনাকে স্বস্তি দিতে পারে।

১. স্টিম ইনহেলেশন

গরম পানির বাষ্প শ্বাসের পথে জমে থাকা শ্লেষ্মা দূর করতে সাহায্য করে। একটি বেসিনে গরম পানি নিন এবং তার উপরে একটি তোয়ালে দিয়ে মাথা ঢেকে নিন। এভাবে ১০-১৫ মিনিট গরম বাষ্প শ্বাসে নিন। এতে নাক খুলে যেতে পারে।

২. গরম পানি পান করা

গরম পানি পান করলে শরীরের তাপমাত্রা বাড়ে, যা সর্দি ও শ্বাসনালীর অবস্থা শিথিল করে। এছাড়া গরম পানির সঙ্গে মধু, আদা বা লেবু মিশিয়ে পান করলে তা শরীরের জন্য আরও উপকারী হতে পারে।

৩. নাকের স্প্রে ব্যবহার

ওষুধের দোকানে নাকের স্প্রে পাওয়া যায়, যা দ্রুত নাক খুলে দিতে সাহায্য করে। তবে এগুলো একবারেই ব্যবহার করা উচিত এবং একদিনের বেশি ব্যবহার না করা উচিৎ, কারণ অতিরিক্ত ব্যবহারে তা শরীরে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।

৪. স্যালাইন সলিউশন দিয়ে নাক পরিষ্কার করা

স্যালাইন সলিউশন বা লবণ পানি দিয়ে নাক পরিষ্কার করা খুবই কার্যকর উপায়। এটি শ্লেষ্মা সরিয়ে নাকের ভেতরের গ্ল্যান্ডকে আর্দ্র রাখে এবং শ্বাস নিতে সহজ করে।

৫. মধু ও আদা

মধু ও আদা একসঙ্গে খেলে নাকের সমস্যার অনেক উপশম হয়। আদা প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান হিসেবে কাজ করে এবং মধু শ্বাসনালীর মিউকাস বের করে দিতে সহায়তা করে।

৬. মাউথ ব্রিদিং (মুখ দিয়ে শ্বাস নেয়া)

যখন নাক পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়, তখন কিছু সময়ের জন্য মুখ দিয়ে শ্বাস নেয়ার চেষ্টা করুন। যদিও এটি দীর্ঘস্থায়ী সমাধান নয়, তবে এটি সাময়িকভাবে শ্বাস নিতে সাহায্য করে।

৭. তেল মালিশ

ইউক্যালিপটাস তেল বা পিপারমিন্ট তেলকে গরম পানি বা গরম স্যাঁক দিয়ে নাকে লাগিয়ে নিন। তেলটির ভাপ আপনার নাকের শ্লেষ্মাকে নরম করে এবং নাক খুলে দিতে সাহায্য করে।

নাক বন্ধ হওয়ার সমস্যা বিরক্তিকর হলেও, এটি সাধারণত বেশিদিন স্থায়ী হয় না। সহজ কিছু উপায় অনুসরণ করে আপনি অল্প সময়েই এটি থেকে মুক্তি পেতে পারেন। তবে যদি সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হয় বা শ্বাস-প্রশ্বাসে অসুবিধা বাড়ে, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিৎ।

আপনার স্বাস্থ্যই আপনার সম্পদ, তাই শরীরের সিগন্যালগুলো বুঝতে শিখুন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।

নুসরাত

×