সংগৃহীত ছবি।
অনেক ধূমপায়ীর কাছেই চা-কফির সঙ্গে ধূমপানের অভ্যাস আছে। সিগারেট স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ক্ষতিকর তা নতুন করে বলার কিছু নেই। কিন্তু এই সিগারেটের সঙ্গে যদি গরম গরম চা-কফি পান করার অভ্যাস থাকে তাহলে বিপদ বেড়ে যায় বহুগুণ।
আসুন, জেনে নেওয়া যাক কী কী স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে এই অভ্যাসের কারণে।
- গরম চায়ের কারণে মুখের টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া: ধূমপানের সময় সিগারেট থেকে নিঃসৃত তাপ এবং গরম চা দুটোই মুখের নরম টিস্যু এবং গলাকে উত্তপ্ত করে। গরম পানীয়ের কারণে মুখের টিস্যুগুলির মধ্যে ক্ষত বা জ্বালা সৃষ্টি হতে পারে। এই ক্ষত যদি বারবার হয়, তাহলে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে।
-
গলা ও পাকস্থলীর ক্যানসারের ঝুঁকি: চা ও কফি গরম অবস্থায় খাওয়ার সময় এই তাপমাত্রা খাবারের সঙ্গে একত্রিত হয়ে গলার লাইন এবং পাকস্থলীর অগ্নাশয়ের উপরও চাপ সৃষ্টি করে। সিগারেটের ধোঁয়া আর গরম পানীয় একত্রিত হলে গলা, মুখ, জিহ্বা ও পাকস্থলীতে ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
-
স্বাস্থ্যগতভাবে দুর্বল হওয়া: সিগারেটের ধোঁয়া শরীরে প্রবেশ করে ত্বক এবং বিভিন্ন অঙ্গের সেলসকে নষ্ট করে। আবার গরম পানীয়ও পিপাসার অনুভূতি কমাতে পারে, যার ফলে শরীরের প্রয়োজনীয় তরল শরীরে পৌঁছাতে পারে না। এর ফলে হাইড্রেশন কমে যায় এবং শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে।
-
পেটের সমস্যার সৃষ্টি: সিগারেট এবং গরম পানীয় উভয়ই পেটের জন্য ক্ষতিকর। সিগারেটের ধোঁয়া পাকস্থলীতে অম্ল ক্ষরণ বাড়ায়, যা আলসারের কারণ হতে পারে। অন্যদিকে, গরম চা বা কফি পাকস্থলীতে অস্বস্তি বা অ্যাসিডিটির সৃষ্টি করতে পারে।
-
হৃদরোগের ঝুঁকি: সিগারেট ধূমপান করে রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরল বেড়ে যায়। গরম চা পানও তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি করে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।
অতএব, চা ও ধূমপান একসঙ্গে করার অভ্যাসটি শুধুমাত্র ক্ষতিকর নয়, এর ফলে দীর্ঘমেয়াদী এবং গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে। সেজন্য এই অভ্যাস থেকে বিরত থাকা উচিত।
নুসরাত