ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

মহানবী মেয়েদের যেসব গুণ দেখে বিয়ে করতে বলেছেন

প্রকাশিত: ১৫:০৪, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

মহানবী মেয়েদের যেসব গুণ দেখে বিয়ে করতে বলেছেন

সংগৃহীত ছবি।

বিয়ে হলো দুইজন বিবাহযোগ্য পুরুষ ও নারীর মধ্যে একটি বৈধ আইনি চুক্তি, যা দাম্পত্য সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করে। এটি শুধুমাত্র সামাজিক ও পারিবারিক বন্ধন নয়, বরং একজন মুমিনের ঈমানের পূর্ণতার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। রাসূল (সা.) এক হাদিসে বলেছেন, "যে ব্যক্তি বিয়ে করল, সে তার অর্ধেক ঈমান পূর্ণ করে ফেলল। অতএব, বাকি অর্ধেক ঈমানে যেন আল্লাহকে ভয় করে।" (বায়হাকি, শুআবুল ইমান)।

হাদিসে নববিতে এক রিওয়ায়াতে হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন, "হে যুবকবৃন্দ! তোমাদের মধ্যে যে বিয়ের দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম, সে যেন বিয়ে করে। কারণ, বিয়ে করলে দৃষ্টিকে নিচু রাখা যায় এবং লজ্জাস্থানের হেফাজত করা যায়। আর যে ব্যক্তি বিয়ের দায়িত্ব পালন করতে পারবে না, সে যেন রোজা রাখে। রোজা তার খাহেশকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে।" (বুখারি, মুসলিম)

বিয়েতে পাত্র বা পাত্রী নির্বাচন করতে গিয়ে, রাসূল (সা.) বাহ্যিক সৌন্দর্যের চেয়ে অধিক গুরুত্ব দিয়েছেন তাদের আত্মিক ও ঈমানিক গুণাবলির প্রতি। তিনি বলেছেন, "নারীদের চারটি গুণ দেখে বিয়ে করো: তার সম্পদ, তার বংশমর্যাদা, তার রূপ-সৌন্দর্য, এবং তার দ্বীনদারী। তবে, তুমি দ্বীনদারীকে প্রাধান্য দেবে। নতুবা তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।" (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৫০৯০)

বিয়ের পূর্বে উভয় পক্ষের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। শুধুমাত্র চরিত্রবান হওয়া নয়, বরং কোনো শারীরিক বা স্বাস্থ্যগত সমস্যা আছে কিনা, তাও একে অপরের জানার অধিকার। শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতা, পাশাপাশি পারস্পরিক সম্মান ও বোঝাপড়া একটি সফল দাম্পত্য জীবনের ভিত্তি গড়ে তোলে।

বিয়ের মাধ্যমে দুটি জীবন একে অপরের সঙ্গে গড়ে ওঠে, এবং এ সম্পর্ককে সফল ও স্থায়ী করতে আল্লাহর প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা এবং দয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

নুসরাত

×