ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

ভয়ংকর বা দুঃস্বপ্ন দেখলে যা করবেন

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

ভয়ংকর বা দুঃস্বপ্ন দেখলে যা করবেন

ছবি: সংগৃহীত।

রাতে যদি কেউ ভয়ংকর বা দুঃস্বপ্ন দেখে, যা তাকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে তোলে এবং ভয়ানক অস্থিরতায় আচ্ছন্ন করে, তখন এটি সাধারণত শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি দ্রুত করে দেয় এবং ঘুম ভেঙে যায়। এই পরিস্থিতিতে করণীয় কী? এ বিষয়ে বিশ্বনবি কী বলেছেন?

হাদিসের পরিভাষায়, অকল্যাণকর বা ভয়ংকর স্বপ্নকে ‘হুলুম’ বলা হয়। এই হুলুম বা দুঃস্বপ্ন মূলত শয়তানের প্রভাব এবং তার কাজ। শয়তান মানুষের মনে ভয় সৃষ্টি করার জন্য এবং ঘুমের মধ্যে অকল্যাণ বা ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে ভয়ংকর স্বপ্ন নিয়ে উপস্থিত হয়। হাদিসে বর্ণিত আছে, দুঃস্বপ্ন শয়তানের পক্ষ থেকে আসছে:

হজরত কাতাদাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, "ভালো স্বপ্ন আল্লাহর পক্ষ থেকে আর খারাপ স্বপ্ন বা হুলুম শয়তানের পক্ষ থেকে আসে।" (বুখারি ও মুসলিম)

তাহলে, যদি কেউ রাতে ভয়ংকর বা দুঃস্বপ্ন দেখে, যেটি তার মধ্যে ভয় সৃষ্টি করে, সে ক্ষেত্রে হাদিসে উল্লিখিত কিছু পদক্ষেপ অনুসরণ করা উচিত। এই বিষয়ে প্রমাণিত দিকনির্দেশনা রয়েছে:

খারাপ স্বপ্ন থেকে মুক্তির দোয়া এবং করণীয়:

১. আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা:
স্বপ্নের অকল্যাণ থেকে মুক্তির জন্য মহান আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইতে হবে। তিনবার "আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম" (আমি শয়তানের বিভ্রান্তি থেকে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করি) পাঠ করা উচিত। এতে সেই স্বপ্ন তার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। (মুসলিম, হাদিস : ২২৬২)

২. থুথু নিক্ষেপ করা:
যে ব্যক্তি খারাপ স্বপ্ন দেখেছে, সে শয্যায় বাঁ দিক ফিরে শোয়ার পর তিনবার বাতাসে আদ্র ধরনের থুথু নিক্ষেপ করবে। (মুসলিম, হাদিস : ২২৬১)

৩. শয্যা পরিবর্তন করা:
যদি কেউ এক দিকে শোয়ে খারাপ স্বপ্ন দেখে, তাহলে তাকে শয্যা পরিবর্তন করে অন্য দিকে মুখ ফিরিয়ে শোতে হবে। এটি অবস্থার পরিবর্তন এবং মনোবলের দৃঢ়তার জন্য করা হয়। (মুসলিম, হাদিস : ২২৬২)

৪. স্বপ্নের কথা কাউকে না বলা:
খারাপ স্বপ্ন দেখলে, তা অন্যদের কাছে বলার কোনো প্রয়োজন নেই। এবং স্বপ্নের ব্যাখ্যা করারও চেষ্টা করবেন না। (বুখারি, হাদিস : ৬৫৮৩)

৫. নামাজ পড়া:
দুঃস্বপ্ন থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য নামাজ পড়াও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটা হৃদয়ে শান্তি এনে দেয় এবং শয়তানের প্রভাব থেকে মুক্তি দেয়। (মুসলিম, হাদিস : ২২৬৩)

এই সব পদক্ষেপ অনুসরণ করলে, আল্লাহর রহমতে, খারাপ স্বপ্নের প্রভাব থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।

নুসরাত

×