নারীর সৌন্দর্যের অন্যতম অনুষঙ্গ চুল। সেই সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে তুলতে নারীর চেষ্টার কোনো শেষ নেই। বিভিন্ন উৎসব, আয়োজনে সকল সাজ পোশাকের সঙ্গে চুলকে সাজিয়ে তোলার জন্য থাকে নানা আয়োজন, যার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে বাহারি গহনার সমাহার।
চুল বাধার ক্ষেত্রে বঙ্গ ললনার প্রথম পছন্দই খোঁপা। চুল যত লম্বা, খোঁপা ততই সুন্দর এবং বড় হবে। পছন্দ অনুযায়ী খোঁপা সাজানো হয় তাজা অথবা কৃত্রিম ফুল দিয়ে। এ ছাড়াও বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের খোঁপার কাটা পাওয়া যায়, যেগুলোতে বসানো থাকে রঙিন পুতি। শাড়ি অথবা পোশাকের সঙ্গে পুতির রং মিলিয়ে খোঁপায় পরা যায়। অনেকে রুপার তৈরি কাটা দিয়েও খোঁপা করেন। জুডা পিন বা ক্লিপ যে কোনো অনুষঙ্গের সঙ্গে চুলের খোঁপা ভালো মানায়, সোনালি বৃত্তাকার পিন বা চেন জুডা (খোঁপা)-র সঙ্গে জড়িয়ে থাকে। জুডা ক্লিপগুলো আধা-বৃত্তাকার হয় এবং মাথার যে কোনো একপাশে সজ্জিত থাকে।
বিনুনি হলো চুল বাঁধার আরেকটি জনপ্রিয় দেশীয় কায়দা। এতে আবার রয়েছে বিভিন্ন ধরন। সাধারণ বিনুনি, খেজুর কাটা বিনুনি, কলাবেণী ইত্যাদি। কেউ কেউ ছোট চুলে লম্বা বিনুনি করার জন্য ট্যাসেল বা কৃত্রিম চুলও ব্যবহার করেন। এ ছাড়াও চুলের গহনার মধ্যে আরও আছে বিনুনির জন্য বিল্লাই, যেটির মধ্যে নয়টি রাউন্ড ক্লিপ সংশ্লিষ্ট থাকে। যা ওপর থেকে নিচে বিনুনির আকার অনুযায়ী অবরোহণ করে।
সিথির টিকলি : এটি একটি সংযুক্ত চেনের অলঙ্কার। যার একটি প্রান্তে হুক থাকে এবং নিখুঁত রত্নখচিত পেনডেন্ট অন্য প্রান্তে সজ্জিত থাকে। সিঁথির টিকলি কপালের মাঝখানে থাকে। যা সিঁথি থেকে চেনের সাহায্যে কপালের অগ্রভাগ পর্যন্ত নেমে আসে।
টায়রা : টায়রা টিকলির মতোই সিঁথিতে পরার একটি গহনা। কিন্তু এটির ঝুল এটিকে টিকলি থেকে আলাদা করে। টায়রার এক পাশে অথবা দুই পাশে লম্বা ঝুল থাকে যা কপাল থেকে শুরু করে পেছনে খোঁপার মাঝখান পর্যন্ত যায়।
ঝুমার : এটি ফ্যান আকৃতির চুলের গহনা। যা ঝাড়বাতির মতো দেখতে এবং মাথার বাম দিকে এটি লাগানো হয়। এটি সাধারণত সোনা দিয়ে তৈরি এবং বেশিরভাগ সময় সিঁথির টিকলির সঙ্গে সাজানো হয়। ঝুমারকে পাসাও বলা হয়। এটি ঐতিহবাহী পোশাকের সঙ্গে চুলে পরার আদর্শ একটি গহনা।
ফ্যাশন প্রতিবেদক