লাল রংয়ের ডালিম খুবই মজাদার ও পরিচিত একটি ফল। বাইরের খোসাগুলোও সরাসরি খাওয়া না গেলেও অন্য কাজে ব্যবহারের জন্য বেশ উপযোগী। এই খোসায় আছে পিউনিক্যালেগিন্স নামক অত্যন্ত শক্তিশালী এক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। রূপকথার গল্পে এই ফলকে যৌবন ও সৌভাগ্যের প্রতীক হিসাবে উপস্থাপণ করা হত। আনারের আদি নিবাস ছিল পারস্যে।
শরীর সুস্থ রাখার পাশাপাশি জীবনের সজীবতা ধরে রাখতে এর ভূমিকা অতুলনীয়। তাই চলুন কথা না বাড়িয়ে আনারের খোসার উপকারী দিকগুলো সম্পর্কে জেনে নেই–
১। হাড়ের স্বাস্থ্য বাড়াতে: রোদে শুকানো ডালিমের খোসার গুঁড়া এক গ্লাস গরম পানিতে ভালো করে মিশিয়ে নেয়া হয়। এতে এক চামচ লেবুর রস এবং এক ড্যাশ লবণ যোগ করলেই হয়ে যাচ্ছে মজাদার জুস। রাতে শোবার আগে এই পানীয় পান করা হাড়ের মজবুত করণে সহায়তা করে।
২। ত্বকের যত্নে: এক চা চামচ আনারের খোসার গুঁড়া নিয়ে তাতে কয়েক ফোঁটা দুধ দিতে হবে। এরপর ভালো করে মিশিয়ে আলতো করে মুখে লাগাতে হবে। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য দুধের পরিবর্তে গোলাপ জল যোগ করা যেতে পারে। মুখে লাগানোর পর তা শুকালে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
৩। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ: আনারের খোসার কোন জুড়ি নেই, ব্লাড সুগারকে নিয়ন্ত্রনে রাখতে আনারের খোসা খুব উপযোগী!
৪। হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে: আনারের খোসার গুঁড়া এক গ্লাস গরম পানিতে মিশিয়ে প্রতিদিন পান করলে হার্টের স্বাস্থ্য উন্নতি করতে পারে। এর সাথে সুষম খাদ্য এবং নিয়মিত ব্যায়ামকে যোগ করলে তা অসুস্থ হার্টকে ধীরে ধীরে পুনরুদ্ধার করতে সহায়তা করবে।
৫। দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি: এক গ্লাস পানিতে এক চা চামচ রোদে শুকানো আনারের খোসার গুঁড়া মিশিয়ে তা দিনে দুবার গার্গল করা নিঃশ্বাসের দিতে যথেষ্ট।
৬। হজম শক্তি বাড়াতে : আধা কাপ রোদে শুকানো ডালিমের খোসা ৩০ মিনিটের জন্য ভেজানো হয়। নরম হয়ে এলে একটি ব্লেন্ডারে রেখে এতে এক চা চামচ জিরা, তিন-চতুর্থাংশ কাপ বাটারমিল্ক, একটু রক সল্ট দিয়ে ব্লেন্ড করতে হবে। হজমের সমস্যা মোকাবিলায় সপ্তাহে অন্তত তিনবার এই মিশ্রণটি পান করা বেশ কার্যকরী।
অতিরিক্ত চুল পড়ার সমস্যা এমনকি ত্বকের সুরক্ষাতেও বেদানার ভূমিকা অপরিহার্য। যেমন ত্বকের বলিরেখা, কালো ছোপ দূর হয়ে উজ্জ্বলতা বাড়াতে আর বয়স ধরে রেখে চির তরুণ থাকতে বেদানা বা আনারের বিকল্প নেই।
জাফরান