‘হ্যাপি হরমোন’ নাম হয়তোবা শুনেছেন,না শুনলেও বলা ভাল যে আমাদের মেজাজ, অনুভূতি, ভালো লাগা নিয়ন্ত্রণ করে যে চারটি হরমোন সেগুলিকেই বলে হ্যাপি হরমোন। ডোপামিন, সেরোটোনিন, অক্সিটোসিন ও এন্ডোরফিন—এই চার হ্যাপি হরমোনের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত হল ডোপামিন। কোনো ভাল লাগা বা আনন্দের কাজ করার পর মস্তিষ্কে ডোপামিনের নিঃসরণ বহুগুণে বেড়ে যায়।
১.ভালো খাবারদাবার: পছন্দের খাবার খেলে ডোপামিন বাড়তে পারে। এমনটা ঠিক, তবে সুস্বাদু বহু খাবারই যে অস্বাস্থ্যকর, উচ্চ ক্যালরি সম্পন্ন। তাই রোজ এই সব খাবার খেলে হয়তো মন ভালো থাকবে, কিন্তু শরীরের বারোটা বেজে যাবে। বরং এমন খাবার বেছে নিন, যাতে শরীরে ডোপামিন বাড়বে, আবার স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি হবে না।
২. ছোট ছোট জিনিষে আনন্দ খোজা: দৈনন্দিন কাজকর্ম যা আমাদের আনন্দ দেয়, সেগুলি করুন। শুধু বড় কিছুর জন্য খুশি হলেই হবে না। এমনকী ছোট ছোট বিষয়গুলোও আমাদের আনন্দ দিতে পারে।
৩.কৃতজ্ঞতা দিয়ে আপনার দিন শুরু করুন: প্রতিদিন সকালে কয়েক ঘণ্টা সময় নিন। আপনার যা প্রাপ্য তার জন্য কৃতজ্ঞ থাকুন। এই ছোট্ট কাজটি আপনার শরীরে ডোপামিনের মাত্রা বাড়িয়ে তুলবে। এটি এমন একটি হরমোন যা আপনাকে সুখী এবং শক্তিশালী বোধ করায়।
৪. শরীর চর্চা: ব্যায়াম আপনার মেজাজ পরিবর্তন করার ওষুধ হতে পারে। আপনি যখন কোনও অনুশীলন করেন , তখন আপনার শরীর এন্ডোরফিলগুলি নিঃসরণ করে। এগুলি হরমোন যা আপনাকে সুখী করে।
৫. প্রকৃতির সঙ্গে সময়: পোষ্য কিংবা প্রকৃতির সঙ্গে সময় কাটানো মানসিক চাপ সামলানোর এক দারুণ উপায়। এই ধরনের কাজেও ডোপামিন নিঃসরণ হয়।
৬. সম্পর্কের প্রতি যত্নশীল: আপনার ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক সম্পর্কের প্রতি যত্নশীল হন। সম্পর্কের বন্ধন যত অটুট থাকবে, বিশেষ করে ব্যক্তিগত সম্পর্কে আপনি যতটা নিরাপদ বোধ করবেন, ততই শরীরের ডোপামিনের ভারসাম্য রাখা সহজ হবে।
৭. আধ্যাত্মিক কাজ: মনকে শান্তি দেয় এমন কাজ আপনার দেহে ডোপামিন বাড়ায়। নিয়মিত ধ্যান ও ধর্মীয় চর্চা করতে পারেন।
জাফরান