ছবি: সংগৃহীত।
নভেম্বরের শুরুতেই আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটতে শুরু করেছে, তাপমাত্রা কিছুটা কমে গেছে। বিশেষত ভোরবেলা হালকা ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। এই সময়ের আবহাওয়া বদল কিছু শারীরিক সমস্যারও সৃষ্টি করতে পারে এবং সঠিক ব্যবস্থা না নিলে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যার সম্মুখীনও হতে পারে। তবে, সঠিক সতর্কতা অবলম্বন করলে শীতের এই ঋতু উপভোগ করাটা হয়ে উঠবে বেশ নিরাপদ এবং আনন্দময়।
আবহাওয়ার এই পরিবর্তন, অনেক সময় বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি তৈরি করে। বিশেষ করে বয়স্ক ব্যক্তি, শিশু, বা যাঁদের ইমিউন সিস্টেম দুর্বল, তাঁদের জন্য শীতকাল আরও বেশি বিপদজনক হয়ে উঠতে পারে। ঠান্ডার কারণে কাশি, সর্দি, জ্বর, হাঁপানি, সাইনাস ইনফেকশন, আর্থ্রাইটিসের সমস্যা ও স্নায়ু সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই সঠিক যত্ন নেওয়া এবং সতর্ক থাকা প্রয়োজন।
শীতের জন্য প্রস্তুতি: কীভাবে সতর্ক থাকবেন?
আবহাওয়ার এই পরিবর্তনের মধ্যে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করলে শীতকালকে উপভোগ করা সম্ভব, এবং রোগবালাইও এড়ানো যেতে পারে। কীভাবে?
গরম কাপড় পরুন: আবহাওয়ার পরিবর্তন শীতের আগমনের ইঙ্গিত দেয়, তাই বাড়তি গরম কাপড় পরিধান করুন। বিশেষ করে সকালের দিকে বাইরে বের হওয়া হলে উষ্ণ জামা-কোট, টুপি, গ্লাভস এবং মাফলার ব্যবহার করুন।
ভিটামিন সি গ্রহণ করুন: সর্দি-কাশি, ঠান্ডাজনিত রোগ থেকে বাঁচতে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো অত্যন্ত জরুরি। তাই ফলমূল, সবজি এবং টক দইসহ ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।
গরম পানীয় পান করুন: ঠান্ডা কফি বা চা নয়, গরম স্যুপ বা কুসুম গরম পানি শরীরের জন্য উপকারী। এটি শরীরের তাপমাত্রা ধরে রাখে এবং ঠান্ডাজনিত সমস্যা থেকে বাঁচায়।
প্রয়োজনীয় ওষুধ রাখা: শীতকাল মানেই সর্দি-কাশি, জ্বরের প্রবণতা। তাই সেসব প্রতিরোধক ওষুধ বা চিকিৎসক নির্দেশিত ওষুধগুলি প্রয়োজনীয় সময়ে হাতের কাছে রাখুন।
শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করুন: শীতের সময়ে বাইরে তাপমাত্রা কম থাকলেও ঘরের ভিতর হালকা গরম রাখতে চেষ্টা করুন। তবে অতিরিক্ত গরম থেকেও বাঁচুন, কারণ এতে শরীরের অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে এবং ঠান্ডা লাগার আশঙ্কা থাকে।
হাঁটার অভ্যাস বজায় রাখুন: শীতকালে অলসতা বাড়তে পারে, তাই নিয়মিত হাঁটা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
প্রতিটি ঋতুর পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শরীরও কিছুটা সময় নেয় নতুন পরিস্থিতির সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য। শীতের আগমনে তাই সতর্কতা অবলম্বন করলে আপনি শীতকালকে শুধু নিরাপদভাবে পার করবেন না, বরং এর সঙ্গে উপভোগও করতে পারবেন।
এমনকি এই সময়ে শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি মনও প্রফুল্ল থাকে, যদি আমরা উপযুক্ত প্রস্তুতি এবং যত্নে শীতকালকে এক আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা হিসেবে নিয়ে আসতে পারি।
নুসরাত