ছবি: সংগৃহীত
জীবনবৃত্তান্ত চাকরি পাওয়ার কোন চূড়ান্ত শর্ত নয়। এর সাথে আরও বিভিন্ন বিষয় রয়েছে যা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় এগিয়ে থাকার জন্য আপনার জীবনবৃত্তান্ত অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ।
আপনি কি কখনো ভেবে দেখেছেন, হাজার হাজার সিভির মধ্যে কেন শুধু কয়েকটি সিভি রাখা হয়? কি সেই বৈশিষ্ট্য যা আপনার সিভিকে অন্যান্য সিভি থেকে আলাদা করবে? চলুন তবে জেনে নেই, কীভাবে সিভি তৈরি করলে অন্যদের থেকে এগিয়ে থাকা যাবে-
১. প্রত্যেকটি কাজের জন্য সিভি কাস্টমাইজ করে নিন:
প্রতিটি চাকরির জন্য আলাদা আলাদা করে সিভি তৈরি করুন। কাজের বিবরণ পড়ে সেখান থেকে প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাগুলি সিভিতে যোগ করুন। এটি দেখায় যে আপনি ভূমিকাটি বুঝতে পেরেছেন এবং মনোযোগ দিয়ে আবেদন করেছেন।
২.সহজ ও পরিষ্কার ভাবে নকশা করুন:
পেশাদার নকশা বেছে নিন যাতে সহজেই চোখে পড়ে। ফন্ট, বিন্যাস এবং পর্যাপ্ত সাদা জায়গার ব্যবহার নিশ্চিত করুন। চটকদার নয় এমন ডিজাইন রাখুন যা নিয়োগকারীদের তথ্য খুঁজে পেতে সহায়ক হবে।
৩. প্রাসঙ্গিক কীওয়ার্ড ব্যবহার করুন:
বড় কোম্পানিগুলো অ্যাপ্লিকেশন ফিল্টার করতে আবেদনকারী ট্র্যাকিং সিস্টেম (ATS) ব্যবহার করে। কাজের বিবরণ থেকে প্রাসঙ্গিক কীওয়ার্ড যুক্ত করে সিভিকে ATS-বান্ধব করুন, যেমন ‘ডেটা বিশ্লেষণ’ যদি সেটি আপনার অভিজ্ঞতার সাথে মিলে।
৪.অর্জনের ওপর ফোকাস করুন:
নিজের অর্জনগুলি নিয়ে কথা বলুন। উদাহরণস্বরূপ, “আমি পাঁচ জনের একটি দলকে নেতৃত্ব দিয়েছি এবং আমরা প্রকল্পটি দুই সপ্তাহ আগে শেষ করেছি, যা ১৫% খরচ বাঁচিয়েছে” — এই ধরনের ফলাফলসঙ্গত তথ্য কৃতিত্বকে তাদের সামনে দৃশ্যমান করে।
৫.যোগাযোগ দক্ষতার উল্লেখ করুন:
যেসব কাজে টিমওয়ার্ক বা যোগাযোগ দক্ষতার প্রয়োজন, সেগুলোর জন্য উদাহরণ দিন। যেমন, “কীভাবে দলের মধ্যে সমস্যা সমাধান করেছেন” বা “যোগাযোগ দক্ষতার মাধ্যমে একটি প্রক্রিয়াকে সহজতর করেছেন”।
৬. সিভি পাঠানোর আগে পরীক্ষা করুন
সিভি পাঠানোর আগে এটি কয়েকবার পরীক্ষা করুন। শুধু বানান বা ব্যাকরণ ভুল সংশোধন নয়, বরং এটি নিশ্চিত করুন যেসব তথ্য দেয়া আছে তা ঠিকভাবে এবং পরিষ্কারভাবে উপস্থাপিত হয়েছে কিনা। সিভি পিডিএফ ফরম্যাটে পাঠানো উত্তম, কারণ এটি ফরম্যাটিং সমস্যা এড়িয়ে চলতে সাহায্য করবে।
নুসরাত