সংগৃহীত ছবি
আজকাল অনেকের মাথা ব্যথার সমস্যাটা একটু বেশেই দেখা যাচ্ছে। মাথা ব্যথা একটি সাধারণ সমস্যা। কমবেশি সবাই এ সমস্যায় ভোগেন। কারও কারও ক্ষেত্রে এ সমস্যা মাঝে মধ্যে তীব্র আকার ধারন করে। অনেকেই মাথাব্যথা কমাতে নিয়মিত নানা ধরনের ওষুধ খান। কেউ আবার মাথা ব্যথা শুরু হওয়ার পরপরই ওষুধের পরিবর্তে এক কাপ চা বা কফি খেয়ে থাকেন।
অনেকের মধ্যে প্রশ্ন জাগে চা বা কফি খেলে সত্যিই কি মাথা ব্যথা কমে? পুষ্টিবিদেরা বলছেন, মিলবে। তবে মাথাব্যথা বা যন্ত্রণাও তো বিভিন্ন প্রকার হয়। সব ধরনের মাথাব্যথায় কিন্তু কাপ চা বা কফি খেলে কাজ করে না। এর বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে।
মাথা ব্যাথা বা যন্ত্রণা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ক্যাফিন ‘থেরাপিউটিক’ এজেন্টের মতো কাজ করে। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব হলে বা ঘুম থেকে ওঠার পরেও অনেক সময়ে মাথা ধরে থাকে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে ‘হিপনিক হেডেক’ বলা হয়। এ ক্ষেত্রে কফি খেলে উপকার মেলে। ২০২৩ সালে ‘নিউট্রিয়েন্টস’ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রেও সে কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
মাথা যন্ত্রণা কমাতে চা-কফি কী ভাবে কাজ করে?
১) মস্তিষ্কের স্নায়ুতন্ত্রের জন্য ক্যাফিন উদ্দীপক হিসাবে কাজ করে। যা শারীরিক কিংবা মানসিক ক্লান্তি দূর করে। ক্যাফিন ‘ভ্যাসোকনস্ট্রিক্টার’ হিসাবেও কাজ করে। যা প্রসারিত রক্তবাহিকার পথ সঙ্কুচিত করে দেয়। যে কারণে চা-কফির কাপে চুমুক দিলে মাথাব্যথায় আরাম মেলে।
২) মাথা ব্যাথার সাথে ক্লান্তি, ঝিমুনিরও যোগ রয়েছে। গোটা শরীরের স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষেত্রে কফি উদ্দীপকের মতো কাজ করে। ফলে সাময়িক ভাবে এই কষ্টের সঙ্গে মোকাবিলা করা যায়।
৩) শরীরের ক্ষতি হতে পারে ভেবে কফিপ্রেমীরা অনেক সময়ে স্বেচ্ছায় এই আসক্তি থেকে দূরে থাকতে চান। এই কারণেও কিন্তু মাথা যন্ত্রণা হতে পারে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে ‘ক্যাফিন উইথড্রয়াল হেডেক’ বলা হয়।
ক্যাফিনের অভাবে হওয়া মাথাব্যথা থেকে বাঁচার উপায়
কয়েকটি পন্থা অবলম্বন করে এই সমস্যা থেকে মুক্তি মিলতে পারে।
- অল্প পরিমাণে ক্যাফিন গ্রহণ করা
- যে কোনো মাথা ব্যথার জন্যই কার্যকর ওষুধ যেমন- অ্যাসিটামিনোফেন এবং আইবুপ্রোফেন ইত্যাদি ক্যাফিনের অভাবে হওয়া মাথাব্যথা উপশমে সহায়তা করে।
- সব রকম স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও সুস্থ থাকার অন্যতম প্রধান ও কার্যকর উপায় হল পানি পান। ক্যাফিনের অভাবে হওয়া মাথাব্যথার ক্ষেত্রেও এটা প্রযোজ্য।
নুসরাত