"পিলাফ"। ছবি: সংগৃহীত
উজবেকিস্তানের সিগনেচার ডিশ হল পালোভ (প্লোভ বা ওশ বা পালোভ, "পিলাফ") , চাল, মাংসের টুকরো, গ্রেট করা গাজর এবং পেঁয়াজ সমন্বিত একটি প্রধান কোর্স। এটি একটি কাজান (বা দেঘি) একটি খোলা আগুনে রান্না করা হয়। ছোলা, কিশমিশ, বারবেরি বা ফল ভিন্নতার জন্য যোগ করা হয়
প্রতিটি দেশেই এমন কিছু খাবার থাকে, যার সঙ্গে মিশে থাকে মানুষের আবেগ, অনুভূতি ও ভালোবাসা। সময়ের সঙ্গে সেসব খাবার হয়ে ওঠে জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। মধ্য এশিয়ার দেশ উজবেকিস্তানে তেমনই একটি বিখ্যাত খাবার ‘প্লভ’ বা ‘পিলাফ’।
এটিকে উজবেকিস্তানের জাতীয় খাবার বলেন অনেকে। এই প্লভ মিশে আছে সেখানকার মানুষের আনন্দ–বেদনায়। কারও জন্ম কিংবা মৃত্যু, পারিবারিক উৎসব, বিয়েশাদি, বর্ষবরণ থেকে শুরু করে সব আয়োজনের সঙ্গে মিশে আছে এই খাবার। হজ থেকে ফেরার পর হাজির সম্মানার্থেও প্লভ রান্না করা হয়। ধনী–গরিব সবার বাড়িতে সপ্তাহে অন্তত একবার হলেও প্লভ রান্না হয়।
চাল, সবজি, ছোলা, মাংস ও মসলার সমন্বয়ে এই খাবার প্রস্তুত করা হয়। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৬ সালে ইউনেসকোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান পেয়েছে প্লভ।
উজবেকিস্তানের ট্যুর গাইড ও ফুড হিস্ট্রি নিয়ে কাজ করা নিলুফার নুরিদ্দিনোভা বিবিসিকে বলেন, ‘প্লভের শুরু কবে থেকে এর কোনো অকাট্য তথ্য আমাদের কাছে নেই। তবে যতটুকু জানা যায়, নবম অথবা দশম শতাব্দীর দিকে এটি জনপ্রিয়তা পায়।
উজবেক প্লভের রেসিপি
গরু ও ছাগলের মাংস প্রথমে লালচে করে ভেজে নেওয়া হয়। এরপর এতে যোগ করা হয় সাদা ও হলুদ গাজর, তেল, চাল, পানি ও মসলা। ফায়জুল্লাহ সাগদিয়েভ বলেন, তিনি লবণ, গোলমরিচ, হলুদ ও জিরা ব্যবহার করেন। ছোলা ও টক কিশমিশও দেওয়া হয়। চার ঘণ্টা ধরে অল্প আঁচে রান্না করা হয়।
টুম্পা