অফিসে আমরা যারা কাজ করি অনেক সময় সহকর্মীদের সাথে ভালো সর্ম্পক গড়ে ওঠে , তবে সত্যি কথা কি পেশাগত আর ব্যক্তিগত জীবন মোটেই এক নয়। বাড়িতে যে ভাবে কথা বলেন, আচরণ করেন, কাজের জায়গায় সেই অভ্যাস একেবারেই সঠিক নয়। অফিসে আপনার আচরণ, কথাবার্তাতেও পেশাদারিত্বের ছাপ থাকা জরুরি। সহকর্মী বন্ধু হয়ে উঠেছে মানেই কিন্তু যে তারা বন্ধু টা ভাবা ভুল ।
১) ব্যাক্তিগত বিষয়: বিশেষ করে কাজের জায়গায় নিজের মনের কথা উজাড় করে বলতে শুরু করলেই বিপদে পড়তে পারেন। প্রেম, ভালোবাসা , বিয়ে এসবের মত ব্যক্তিগত জীবন সামনে মেলে না ধরাই শ্রেয়। তাই কাজের জায়গায় কোন কথাটি বলবেন আর কোনটি নয়, তা আগে থেকে ভাবনাচিন্তা করে নেওয়াই জরুরি।
২) আর্থিক অবস্থা: আপনার আর্থিক অবস্থা কেমন তা কখনওই সহকর্মীর সঙ্গে আলোচনা করবেন না। পরিবারের রোজগার কত, সংসার চালাতে কত খরচ হয় এই সব তথ্য সামনে আসতে না দেওয়াই ভাল। পাশাপাশি, বেতন নিয়ে কোনও রকম মন্তব্য না করাই উচিত। বেতন নিয়ে যদি আপনার অভিযোগও থাকে, তা হলেও তা সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করবেন না।
৩) শারীরিক অবস্থা:আপনার শারীরিক অবস্থা, অসুখবিসুখ নিয়ে বেশি চর্চা না করাই ভাল। সহকর্মী হয়তো শুনে দুঃখপ্রকাশ করবেন, কিন্তু আড়ালে সে নিয়ে হাস্যকৌতুকও হতে পারে। আর কর্তৃপক্ষের কানে গেলে তাঁরা হয়তো ভাবতে পারেন এমন শারীরিক অবস্থায় আপনি চাপ নিয়ে কাজ করতে সক্ষম নন।
৪) ভবিষ্যত পরিকল্পনা : জীবন নিয়ে আপনার কি পরিকল্পনা তা কখনোই শেয়ার করতে যাবেন না । নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কখনওই সহকর্মীদের জানাবেন না। তাঁরা যতই ঘনিষ্ঠ হোন না কেন, কাজ নিয়ে আপনার পরিকল্পনা কী, তা নিজের মধ্যেই রাখুন।
৫) পরনিন্দা-পরচর্চা : কাজের জায়গায় ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা একসঙ্গে থাকলে বিভিন্ন বিষয়ে মতানৈক্য হতেই পারে। সহকর্মীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি বা মনোমালিন্য যা-ই হোক না কেন, তা নিয়ে অফিসে অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি করা অপেশাদারিত্বের পরিচয় দেয়। আর সে নিয়ে কখনওই আড়ালে সমালোচনা করতে যাবেন না।
জাফরান