ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১

ভাইভার বেশ -ভূষা কেমন হওয়া উচিৎ

প্রকাশিত: ১৫:০২, ২৩ অক্টোবর ২০২৪

ভাইভার বেশ -ভূষা কেমন হওয়া উচিৎ

আমরা অনেকেই  অনেক সময়  ঝামেলায় পড়ে যাই ভাইভার পোশাক  নিয়ে,  ভাইভার জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো ড্রেস কোড নেই। তবে মার্জিত ও রুচিশীল পোশাক পরা  বাঞ্ছনীয়। কিন্তু আজকাল অনেক জায়গায়  ই ড্রেস কোড মেনে চলতে হয়। 

ছেলেদের পোশাক-পরিচ্ছদ

কোনো মার্জিত কালারের ফুলহাতা শার্ট পরবেন, তবে সাদা বা অন্য কোনো মার্জিত এক কালারের শার্ট ও পরা যেতে পারে। এক কালারের শার্টের ওপর কোনো মার্জিত স্ট্রাইপ থাকলেও সমস্যা নেই। ফুলহাতা শার্টের সঙ্গে কালো রঙের বা অন্য কোনো ফরমাল কালারের ফরমাল প্যান্ট পরবেন। তবে গরমকালে শার্টের সঙ্গে টাই-কোট পরবেন না। কারণ গরমের সময় টাই-কোট না পরার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা রয়েছে। হাতে মার্জিত কোনো হাতঘড়ি পরলে বেশ সুন্দর দেখা যাবে। সু  ও বেল্ট চামড়ার ফরমালগুলো পরবেন। সুর সঙ্গে অবশ্যই মোজা পরবেন।
উল্লেখ্য, কেউ চাইলে ভাইভা বোর্ডে ফরমাল কালারের পায়জামা ও পাঞ্জাবি পরে যেতে পারেন। এ ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা নেই। মুখে দাঁড়ি থাকলেও সমস্যা নেই। মূল কথা হলো, মার্জিতভাবে পরিপাটি হয়ে ভাইভা বোর্ডে নিজেকে উপস্থাপন করতে হবে।

মেয়েদের পোশাক-পরিচ্ছদ
মার্জিত রঙের  সুতি, জামদানী শাড়ি পরিধান করতে পারেন।কেউ চাইলে সালোয়ার-কামিজও পরতে পারেন। তবে তা যেন মার্জিত, রুচিসম্মত রং ও ডিজাইনের হয়। পায়ের জুতা 
শাড়ি বা সালোয়ার-কামিজের সঙ্গে মিলিয়ে পারতে পারলে বেশি ভালো হয়। তবে হাই হিলের জুতা পরে ভাইভা বোর্ডে না যাওয়াই ভালো। স্বাভাবিক কানের দুল এবং গলায় চেইন পরতে পারেন। চাইলে সঙ্গে হালকা মেকআপ এবং মার্জিত রঙের হালকা লিপস্টিকও ব্যবহার করতে পারেন।

উল্লেখ্য, কেউ চাইলে বোরকা ও হিজাব পরে যেতে পারেন। এতে কোনো সমস্যা নেই (অধিকন্তু, সম্প্রতি মহামান্য হাইকোর্ট বোরকা বা হিজাব পরাকে কে সাংবিধানিক অধিকার হিসেবে ঘোষণা করেছেন)। তবে বোরকা বা হিজাব পরলেও মুখমণ্ডল উন্মুক্ত রাখতে হবে।

জাফরান

×