ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২১ অক্টোবর ২০২৪, ৬ কার্তিক ১৪৩১

দাম্পত্য সম্পর্কে কেমিস্ট্রি বজায় রাখার উপায়...

প্রকাশিত: ১৪:২৮, ২১ অক্টোবর ২০২৪; আপডেট: ১৪:৩২, ২১ অক্টোবর ২০২৪

দাম্পত্য সম্পর্কে কেমিস্ট্রি বজায় রাখার উপায়...

হ্যাপি কাপল

বর্তমান জীবন যাপন রঙিন এবং চকচকে সম্পর্ক থাকলেও আমরা ভালো নেই অনেকেই, সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা অনেককে দেখি অনেক সুখি যাদেরকে আমরা হ্যাপি কাপল বলে আখ্যায়িত করে থাকে

দাম্পত্য জীবনটা অনেক সময় একঘেয়েমি পূর্ণ হয়ে যায়, বিভিন্ন কারণে যার জন্য বিচ্ছেদ দাম্পত্য কলহ পারিবারিক কলহ লেগেই থাকে, মানুষ দেখে খুব জটিল প্রাণী, সম্পর্কের টানা পড়েনে আমরা অনেক সময় এতটাই তিক্ত করে ফেলি সম্পর্ককে, তখন বিচ্ছেদ ছাড়া আর কিছুই করার থাকেনা, এজন্যই সম্পর্ক কে  নিরাপদ রাখতে রাখতে ভালোবাসার মানুষকে কাছে রাখতে, আমাদের উচিত কিছু পদক্ষেপ নেওয়া, নারী বা পুরুষ বিয়ে পর একটা চিরাচরিত সমস্যা হল আমার সঙ্গী আর আগের মত নেই। আমার কথা শোনে না আগের মত আমাকে ভালোবাসে না।

পুরুষ মানুষ বরাবর একটু অস্থির প্রকৃতির এবং তাদের মাঝে একটি ভ্রান্ত ধারণা কাজ করে যে আমার ওয়াইফ আমাকে হয়তো বা নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে, ভালো-মন্দ বিচার বিবেচনা না করে তারা তাদের জীবনে ঘটে যাওয়া ছোট বড় সমস্যার পেছনে, তাতে ওয়াইফ কে দায়ী করে।

অমনোযোগী আচরণ: ছেলেরা ব্যস্ত থাকে দিন শেষে অফিস থেকে এসে, বাসার ছোটখাটো রোজকার সমস্যার কথা শুনতে তাদের মোটেও ভালো লাগেনা ,এ ছাড়া অধিকাংশ মহিলা মানুষ বাসায় থাকে তার ছোটখাটো বিষয় নিয়ে কথা বলতে পছন্দ করে, এজন্য এক ধরনের সংঘর্ষ তৈরি হয়, মেয়েদের উচিত ছোটখাট সমস্যা নিজে থেকেই সমাধান করে বড় ব্যাপার গুলো তারা স্বামীর সাথে বসে আলাপ আলোচনা মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা।

পরিপাটি থাকা: অনেকেই আছে যারা বাসায় থাকলে অপরিপাটি এবং অগোছালো অবস্থায় থাকে, অনেক পুরুষ মানুষেরই অপছন্দের কারণ, নিজেকে পরিপাটি গুছিয়ে রাখার চেষ্টা করুন,  এতে করে নিজেকে সুন্দর এলাকার পাশাপাশি আপনার নিজের প্রতি এক ধরনের কনফিডেন্স তৈরি হবে যে ব্যাপারটা অতন্ত আকর্ষণীয় 
  
ক্ষমা করা মানসিকতা: মানুষই ভুল করে, ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত যাই হোক না কেন ক্ষমা করার মত মানসিকতা না থাকলে সম্পর্ক কেই রাখতে পারবেন না ।

মতামত কে প্রাধান্য দেওয়া: অনেকে সময় ছোটখাটো অনেক বিষয়কে আমলে নেই না, যে কারণে অনেক সময় অপর সনোঘের মন খারাপের কারণ এর বিষয় হতে পারে, সে ক্ষেত্রে সঙ্গীর পছন্দ-অপছন্দ কে প্রাধান্য দেওয়ার মন মাঝিপাতা রাখতে হবে, সে কি বলতে চায় বোঝাতে চায়, কেমন ব্যবহার চায় আপনার কাছ থেকে তা বুঝতে আপনাকে একটু ধৈর্যশীল হতে হবে। মনে রাখতে হবে আপনার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকলে আপনি তার ভালোবাসা পাবেন

আর্থিক সহায়তা: সংসারটা দুজনের, সংসারে কিভাবে কোন খাতে খরচা হবে বুঝেশুনে খরচা করা, একজনের উপর অতিরিক্ত  আর্থিক সহায়তা আশা করা ঠিক না, আয় বুঝে ব্যয় না হলে সংসারের ঝামেলা লেগে থাকবে ।

সর্বোপরি সংসার জীবনটা সবসময় সহজ সরল হবেনা, প্রতিঘাত  আসবে,  ছেড়ে যাওয়ার ১০০ টা কারণ থাকলেও টিকিয়ে রাখার জন্য একটি কারণ যথেষ্ট তা হচ্ছে ভালোবাসা এবং সঙ্গীকে সম্মান করা ।

জাফরান

×