মুখের সৌন্দর্য অনেকটাই নির্ভর করে চোখের ওপর
মুখের সৌন্দর্য অনেকটাই নির্ভর করে চোখের ওপর। যার চোখ যত সুন্দর সে যেন ততই মায়াবি দৃষ্টিতে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে খুব সহজেই। আর এ কারণেই যে কোনো উৎসবে নারীদের চোখের সাজে থাকে বাড়তি আয়োজন আইল্যাশ। আইল্যাশ সবকিছু ছাপিয়ে আলাদাভাবে নজর কাড়ে। তবে আইলুক কমপ্লিট হওয়ার জন্য ফেইক আইল্যাশ অ্যাপ্লাই করতে হবে সঠিকভাবে। কীভাবে আইল্যাশ অ্যাপ্লাই করলে সুন্দর লাগবে সেটা নিয়ে অনেকেরই রয়েছে সীদ্ধান্তহীনতা।
আইল্যাশ ব্যবহারের আগে যা জানা প্রয়োজন-
নকল আইল্যাশের দারুণ বিষয় হচ্ছে আপনি আপনার স্টাইল ও চোখের শেইপ অনুযায়ী কিনতে পারবেন। আইল্যাশ অ্যাপ্লাইয়ের পূর্বেই বিভিন্ন রকম আইল্যাশ সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। ইনডিভিজ্যুয়াল ল্যাশ, ক্লাস্টার ল্যাশ, স্ট্রাইপ ল্যাশ নানা নামের আইল্যাশ এখন পাওয়া যায়।
ড্রামাটিক লুক পেতে স্ট্রাইপ ল্যাশ বেশ কার্যকর। যারা আই মেকআপে একটু ডিফারেন্ট লুক চান তারা বিশেষ অনুষ্ঠানে এ ধরনে ল্যাশ ব্যবহার করতে পারেন। আইল্যাশ সাধারণত অ্যানিমেল ও হিউম্যান হেয়ার, সিন্থেটিক ফাইবার দিয়ে তৈরি হয়। স্টাইল অনুযায়ী নারীরা তাদের পছন্দসই ল্যাশ বেছে নেন চোখের জন্য।
আইল্যাশ ব্যবহারের আগে করণীয়-
ট্রিম করে নেওয়া :
আইল্যাশ অ্যাপ্লাই করার সময় যতগুলো ভুল আমরা করি, তার মধ্যে সবচেয়ে কমন ভুল হচ্ছে বক্স থেকে বের করে ডিরেক্ট ল্যাশ অ্যাপ্লাই করা। প্রতিটি মানুষের চোখের ধরন আলাদা। তাই আইল্যাশও বেছে নিতে হবে চোখের মাপ অনুযায়ী। অ্যাপ্লাইয়ের আগে চোখের শেইপ অনুযায়ী ল্যাশ ট্রিম করে নিন। এতে লাগানোর পর চোখের কর্নারে ল্যাশ বের হয়ে থাকবে না। চোখের সৌন্দর্যও পারফেক্ট হবে।
কার্ল করে নেওয়া :
ফেক আইল্যাশ অ্যাপ্লাইয়ের আগে আইল্যাশ কার্লার দিয়ে ন্যাচারাল ল্যাশ কিছুটা কার্ল করে নিন। এতে ল্যাশ কিছুটা কার্ভ দেখাবে এবং দুই ল্যাশের মাঝামাঝি কোনো গ্যাপ থাকবে না।
কার্ল করে নেওয়া :
কার্ল করার পর ন্যাচারাল ল্যাশে মাশকারা দিতে হবে। এতে ধুলা-ময়লা আটকে যাওয়া বা ফেক ল্যাশ পরে চোখের যে কোনো ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যাবে।
আইল্যাশ গ্লু সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেওয়া
যদি আপনার চোখ সেনসিটিভ হয় অথবা চোখে কোনো অ্যালার্জি থাকে তা হলে আইল্যাশ গ্লুতে থাকা ইনগ্রেডিয়েন্টগুলো সম্পর্কে আগে অবশ্যই জেনে নিতে হবে। অন্যথায়, চোখে অ্যালার্জি, চোখ জ্বলা বা চুলকানির মতো সমস্যাও হতে পারে। তবে এগুলো সংখ্যায় খুবই কম। তাই ব্যবহারের আগে উপাদান দেখে নেওয়া জরুরি। গ্লু কখনোই বেশি পরিমাণে ইউজ করা যাবে না।
ফেইক আইল্যাশ মানেই প্রচুর গ্লু লাগাতে হবে মোটেই এমন নয়। ইভেন লাইনের ওপর জাস্ট এক লাইনের একটা কোট দিলেই যথেষ্ট। গ্লু লাগানোর পর ৩০ সেকেন্ড অপেক্ষা করুন। ফেইক আইল্যাশ সব সময় ঠিক ল্যাশ লাইন বরাবর একটু ওপরে লাগাতে হয়। নইলে গ্লু ন্যাচারাল ল্যাশের সঙ্গে লেগে স্টিকি হয়ে আনকমফোর্টেবল ফিল হতে পারে।
টুইজার অথবা ল্যাশ অ্যাপ্লিকেটর ব্যবহার করা:
হাত দিয়েই ল্যাশ লাগানো যায়, তবে টুইজার বা আইল্যাশ অ্যাপ্লিকেটর দিয়ে লাগানোটাই সবচেয়ে সেইফ। যদি আঙুল দিয়ে ধরতেই হয়, তা হলে এমনভাবে ধরতে হবে যেন ল্যাশের শেইপ নষ্ট না হয়। একই ব্যাপার খেয়াল রাখতে হবে কন্টেনার থেকে ল্যাশ বের করে নেওয়ার সময়ও।
ব্যবহার শেষে যেভাবে রিমুভ করবেন:
আলগা চোখের পাপড়ি বা ফেইক আইল্যাশ চোখের সৌন্দর্য বাড়ালেও চোখ ভালো রাখার জন্য রাতে ঘুমানোর আগে অবশ্যই এটি রিমুভ করতে হবে। ল্যাশের গ্লু সফট করার জন্য কটনে একটু আই মেকআপ রিমুভার অথবা ক্লেনজিং অয়েল লাগিয়ে জেন্টলি ল্যাশ লাইনের ওপর লাগিয়ে দিন। গ্লু হাল্কা হয়ে আসলে টান দিলেই ল্যাশ উঠে আসবে।
ক্লিন শেষে স্টোর করুন:
অনেকে ভাবেন ফেইক আইল্যাশ শুধু একবারই ব্যবহার করা যায়। তবে সত্যিটা হচ্ছে, যদি আপনি ভালোভাবে ল্যাশ ক্লিন করে স্টোর করতে পারেন, তাহলে কয়েকবার ব্যবহার করা যাবে। আইল্যাশ ক্লিন করে কন্টেনারে রেখে দিলে পরের যে কোনো আয়োজনে সহজেই পুনরায় ব্যবহার করা যাবে।
যমুনা ফিউচার পার্ক, বসুন্ধরা সিটি, ইস্টার্ণ মল্লিকা, উত্তরার পদ্মনগর (জমজম টাওয়ারের বিপরীতে), মিরপুরের কিংশুক টাওয়ার থেকেও বেছে নিতে পারেন আপনার পছন্দের আইল্যাশ।
ফ্যাশন প্রতিবেদক