ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

aiub
aiub

পুরুষের ত্বকেও যত্নের প্রয়োজন হয়!

প্রকাশিত: ১৮:৪১, ৮ জুলাই ২০২৪; আপডেট: ১৯:২৫, ৮ জুলাই ২০২৪

পুরুষের ত্বকেও যত্নের প্রয়োজন হয়!

পুরুষের ত্বক পরিচর্যা

ত্বক পরিচর্যার ক্ষেত্রে স্বাধারণভাবেই পুরুষদের কথা বাদ পরে যায়। তবে স্বাস্থ্যোকর তারুণ্যময় দেখাতে পুরুষদেরও ত্বকের যত্ন প্রয়োজন। আর পরিচর্চায় ক্ষেত্রে কিছু বিষয় খেয়াল রাখা দরকার।

এই বিষয়ে ‘আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ ডার্মাটোলজি অ্যাসোসিয়েশন’য়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, “নারীদের থেকে পুরুষদের ত্বক আলাদা। যেমন- পুরুষের ত্বক সাধারণত নারীদের থেকে পুরু হয়।”

সাধারণ ত্বক পরিচর্যার প্রথম ধাপ হচ্ছে নিজের চামড়ার ধরন চিহ্নিত করা। পুরুষসহ সকলের সাধারণত পাঁচ ধরনের ত্বক দেখা যায়-

সেনসেটিভ বা সংবেদনশীল ত্বকে কোনো প্রসাধনী ব্যবহার করলে জ্বালা বা সুচ ফোটার মতো অনুভূতি হতে পারে।
সাধারণ ত্বক দেখতে পরিষ্কার মনে হয় তেমন কোনো সংবেদনশীলতা কাজ করে না।
 
ত্বকের ধরন বুঝতে পারলে কীভাবে যত্ন নিতে হয় আর কোনো ধরনের পণ্য ব্যবহার করতে হবে সে বিষয়ে স্বচ্ছ ধারণা নেওয়া সম্ভব হয়।

পুরুষের ত্বকের যত্নের রুটিন গড়তে ত্বক-বিশেষজ্ঞরা সাধারণত কয়েকটি বিষয় গুরুত্ব দেয়।

পণ্যের উপাদান ও লেবেল খেয়াল করা

ত্বকের ধরন বুঝে প্রসাধনী বাছাই করা প্রয়োজন। যদি ব্রণ প্রবণ ত্বক হয় তবে ‘অয়েল ফ্রি’ বা ‘নন-কোমেডোজেনিক’ ক্লেঞ্জার ও ময়েশ্চারইজার ব্যবহার করতে হবে। এগুলো লোমকূপ আবদ্ধ করে না।

সংবেদনশীল ত্বকের ক্ষেত্রে মৃদু ‘গন্ধহীন’ পণ্য বেছে নিতে হবে। সুগন্ধ যুক্ত প্রসাধানী এই ধরনের ত্বকে অস্বস্তি ও শুষ্কভাব তৈরি করে।

তবে ‘আনসেন্টেড’ বা গন্ধহীন প্রসাধনীতে ‘মাস্কিং ফ্রেইগরেন্সেস’ লেখা থাকলে সেটাও ত্বকে অস্বস্তি তৈরি করতে পারে।

প্রতিদিন মুখ পরিষ্কার করা

সাধারণ সাবানে থাকা উপাদান ত্বক শুষ্ক করে দেয়। এ কারণে কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধোয়ার মৃদু বা ‘মাইল্ড ক্লেঞ্জার’ ব্যবহার করতে হবে।

শেইভিংয়ের দিকে খেয়াল করা

অনেকের ক্ষেত্রেই কয়েকটা ব্লেডযুক্ত রেজর দিয়ে শেইভ করলে ত্বকে মসৃণ অনুভূতি দেয়। তবে যাদের ত্বকে জ্বালাপোড়া বা ‘রেইজর বাম্পস’ হয় তাদের একটি বা দুটি ব্লেডের রেইজর ব্যবহার করা উচিত। পাশাপাশি ত্বক টেনে ধরে শেইভ করা যাবে না।

শেইভের আগে ত্বক ভিজিয়ে নিলে দাড়ি গোঁফের গোড়া নরম হয়। ময়েশ্চারাইজার যুক্ত শেইভিং ক্রিম ব্যবহার করা উপকারী। আর উল্টা শেইভ করা এড়াতে হবে।

শেইভের পর ভালো মতো রেইজর ধুয়ে রাখতে হবে। আর পাঁচ থেকে সাতবার শেইভের পর নতুন ব্লেড ব্যবহার করা উচিত।

প্রতিদিন ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার

ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখার পাশাপাশি বলিরেখা পড়া এড়াতে নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হয়। ভালো ফলাফল পেতে শেইভ ও গোসলের পরপরই ত্বকে ভেজাভাব অবস্থায় পুরো দেহ ও মুখে ময়েশ্চারাইজার মাখতে হবে।

নিয়মিত ত্বক পরীক্ষা করা

ত্বকে নতুন দাগ দেখা দেওয়া বা চুলকানি-যুক্ত আঁচিল, রক্ত পড়া বা রং বদল হওয়া- সাধারণত ত্বক ক্যান্সারের পূর্বাভাস দেয়। এরকম সন্দেহজনক কোনো কিছু দেখা দিলে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হতে হবে দ্রুত।

পঞ্চাশোর্ধ পুরুষের মরণঘাতি ত্বকের ক্যান্সার ‘মেলানোমা’ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তবে প্রাথমিক অবস্থায় ধরতে পারলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ত্বকের ক্যান্সার সারানো যায়।

বাইরে গেলেই সানস্ক্রিন

সূর্যের আলোর ক্ষতি থেকে ত্বকে বলিরেখা পড়ে, বয়স্কভাব দেখা দেয় এমনকি ত্বকে ক্যান্সার হয়। তাই রোদে গেলেই সানস্ক্রিন মাখার অভ্যাস গড়তে হবে।

শুধু হাত-মুখে নয়- মাথার ত্বক, কান, গলা, ঠোঁটও রোদ থেকে বাঁচাতে হবে।

‘বোর্ড স্পেক্ট্রাম’, পানি রোধক, এসপিএফ ৩০ বা এর চেয়ে বেশি মাত্রার সানস্ক্রিন প্রতি দুঘণ্টা পরপর ত্বকে ব্যবহার করার অভ্যাস গড়তে হবে। এছাড়া সাঁতার কাটা বা ঘেমে যাওয়ার পরপরই সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত।

ত্বকে যাতে রোদ না লাগে সেজন্য হালকা পাতলা তবে হাত, গলা, পা ভালো মতো ঢেকে থাকে এমন পোশাক পরতে হবে। না হলেও অন্তত ছাতা ব্যবহার করা উপকারী।

‘ইউভি’ বা সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা করতে পারে এমন সানগ্লাস বেছে নিতে হবে।

 

শহিদ

×