ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

রোজা রাখলে শরীরে যেসব প্রভাব পড়ে

প্রকাশিত: ১৬:৪১, ১২ মার্চ ২০২৪

রোজা রাখলে শরীরে যেসব প্রভাব পড়ে

রোজা 

সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সব ধরনের পানাহার, পাপাচার, যাবতীয় ভোগবিলাস ও অপ্রয়োজনীয় কাজ থেকে বিরত থাকার নাম সাওম বা রোজা। মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের জন্য রমজানের এক মাস রোজা রাখা ফরজ। এর ধর্মীয় এবং সামাজিক নানা উপকারিতা তো রয়েছেই, সেইসঙ্গে রোজা রাখা শরীরের জন্যও উপকারী। দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার ফলে শরীরের তো অসুবিধা হয়ই না, বরং অনেক চমকপ্রদ উপকার মেলে। রোজা রাখলে তা আপনাকে শান্ত,পরিণতই করবে না, সেইসঙ্গে সুস্থ রাখতেও কাজ করবে।

কয়েক বছর ধরে উত্তর গোলার্ধের দেশগুলোতে রোজা গ্রীষ্মকালে হওয়ায় গরমের মধ্যে অনেক দীর্ঘসময় ধরে মুসলিমদের রোজা রাখতে হচ্ছে। ইউরোপের কোনো কোনো দেশে কুড়ি ঘণ্টাও রোজা রাখতে হচ্ছে। আজ আমরা জানব রোজা রাখলে আমাদের শরীরে কী প্রভাব পড়ে সে সম্পর্কে-

ওজন কমাতে কাজ করে: 
রোজা রাখলে তা আপনার ওজন কমানোর প্রক্রিয়াকে গতিশীল করতে পারে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, রোজা রাখা অর্থাৎ একটি নির্দিষ্ট সময় না খেয়ে থাকা, খাওয়ার নির্দিষ্ট সময় ঠিক রাখা অর্থাৎ প্রতিদিন একই সময়ে খাওয়া এবং খাওয়ার পরিমাণের দিকে নজর রাখার অভ্যাস, ওজন কমানোর কাজে সহায়ক। এই অভ্যাসগুলো ওজন হ্রাস, চর্বি হ্রাস এবং রক্তের লিপিড উন্নত করতে সহায়তা করতে পারে।

রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণ করে:
বেশ কিছু গবেষণা রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণের উন্নতি এবং সম্ভাব্যভাবে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি হ্রাস করার উপায় হিসাবে রোজা রাখাকে সমর্থন করে। তাই রোজা রাখলে এই সুবিধা পাওয়া যেতে পারে। তবে এটি নিয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর আগে আরও গবেষণার প্রয়োজন।

অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে: 
রোজা রাখার আরেকটি সুবিধা হলো, অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার বৈচিত্র্য এবং সংখ্যা উভয়ের ওপর এর ইতিবাচক প্রভাব। এটি ওজন পরিবর্তন, কোমরের চর্বি কমানো এবং বিপাকের উপর একটি উপকারী প্রভাব ফেলে।
 
হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে: 
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে বিরতিহীন উপবাস হৃদরোগের কিছু ঝুঁকির কারণ কমাতে পারে। রক্তচাপ, কোলেস্টেরল এবং প্রদাহের মতো সমস্যা কমাতে এটি বিশেষ কার্যকরী। তাই রোজা রাখলে হার্টের স্বাস্থ্য ভালো থাকে অনেকটাই।

রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে: 
রমজানে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস আপনার শরীরকে রোগ প্রতিরোধ সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ফাংশনগুলোতে কাজ করতে সাহায্য করে। এর কারণ হলো, যখন আমরা রোজা রাখি, তখন শরীর অটোফ্যাজি নামে একটি প্রক্রিয়া শুরু করে। এই প্রক্রিয়ায় কোষ থেকে বর্জ্য পদার্থ অপসারণ করা হয়।

 

এস

সম্পর্কিত বিষয়:

×