শিশুদের মোবাইল ব্যবহার
আমাদের চারপাশে এখন সবার হাতে হাতে স্মার্টফোন। গবেষণার তথ্যমতে একজন মানুষ ঘন্টায় গড়ে ১০ থেকে ১২ বার স্মার্টফোনের সাথে সময় কাটায়। বর্তমান সময়ে বয়স্কদের পাশাপাশি শিশুদের মাঝেও বাড়ছে স্মার্টফোন আসক্তি। পড়াশোনার পাশাপাশি অনেকটা সময় ধরে গেইম ও কার্টুন দেখায় এখন অভ্যস্ত শিশুরা। এছাড়া নানা ডিজিটাল অ্যাক্টিভিটি-প্রজেক্টের কারণে শিশু-কিশোরদের নির্ভরতাও বাড়ছে স্মার্টফোন-ল্যাপটপের উপর।
একটি গবেষণা দাবি করছে, ১০-১৯ বছরের শিশুরা যদি দিনে চার ঘণ্টার বেশি স্মার্টফোনে বুঁদ হয়ে থাকে তাদের মানসিক স্বাস্থ্য বিঘ্নিত হতে পারে। এমনকি তাদের মধ্যে নেশাদ্রব্যে ব্যবহারের ঝুঁকিও বেশি।
এর আগে গবেষণায় দেখা যায়, সম্প্রতি এই বয়সসীমায় থাকা শিশুদের মধ্যে স্মার্টফোন ব্যবহার বাড়ছে। তার সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা, সাইক্রিয়াট্রিক ডিসঅর্ডার, ঘুমের সমস্যা, চোখের সমস্যা ইত্যাদি তো আছেই।
এই সমস্যা আরও খতিয়ে দেখতে ও ওই বয়সী শিশুদের মোবাইল ব্যবহারের সঙ্গে স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ আরও খতিয়ে দেখতে একটি গবেষণা চালায় কোরিয়ায় হ্যানয়াং বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল সেন্টার। ওই গবেষক দল ৫০ হাজারের বেশি এই বয়সসীমায় থাকা শিশুদের উপর পরীক্ষা করেছে।
তারা দিনে কতক্ষণ স্মার্টফোন ব্যবহার করছে, কীভাবে ব্যবহার করছে তা দেখা হয়েছে ও তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষাও করানো হয়েছে গবেষণার কাজে। রাশিবিজ্ঞানের বিশেষ মডেল ব্যবহার করে, স্ট্যাস্টিক্যাল অ্যানালাইসিস ব্য়বহার করে তথ্যের বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
সব তথ্যাদি বিশ্লেষণ করে গবেষকরা জানান, এই বয়সী ছেলে-মেয়েদের মধ্যে দিনে চার ঘণ্টার বেশি মোবাইল ফোন ব্যবহার করে, তাদের স্ট্রেস অনেক বেশি। তারা আত্মহত্যাপ্রবণ হয়ে ওঠে ও সহজেই তারা নেশার কবলেও পড়ে।
আবার যারা একেবারেই স্মার্টফোন ব্যবহার করে না তাদের তুলনায় যারা দিনে এক-দুই ঘণ্টা ব্যবহার করে তাদের ক্ষেত্রে এ ধরনের সমস্যা অনেকটাই কম।
সূত্র: সায়েন্স ডেইলি/ইন্ডিয়া.কম
এবি