ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

সেহরিতে কী খাবেন আর কী খাবেন না

প্রকাশিত: ১৬:২৮, ২৯ মার্চ ২০২৩

সেহরিতে কী খাবেন আর কী খাবেন না

সেহরি

রোজার মাসে দিন শুরু হয় সেহরি দিয়ে। সূর্যদয়ের আগে সেহরি করে রোজা শুরু করেন রোজাদাররা। সূর্যাস্তের পর ইফতারের মাধ্যমে রোজা ভাঙেন। রোজায় যেহেতু দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকা হয় এ জন্য রমজানে সেহরিতে কী খাবেন আর কী খাবনে না তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

খাদ্য তালিকায় রাখুন:

সেহরিতে আপনি এমন খাবার খাবেন যেন সারা দিন আপনি ঝরঝরে থাকতে পারেন এবং প্রাণবন্ত থাকেন। সারা দিন পিপাসার কষ্ট যদি আপন না পেতে চান, সারা দিন যদি ঝরঝরে থাকতে চান, তাহলে সেহরিতে আমিষ বা প্রোটিন খাওয়া বন্ধ করুন। মাছ, মাংস, ডিম বন্ধ রাখুন।

ভাত, রুটি, আলুতে অনেক বেশি পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট রয়েছে, যা  হজম হতে অনেক সময় নেয়। কাজ করার শক্তিও জোগায় এ জাতীয় খাবার। তবে অতিরিক্ত ঝাল জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন, যা বদহজম সৃষ্টি করে।

ফল ও শস্যজাতীয় খাবার:

আপেল, কলায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে, অন্যদিকে শস্যজাতীয় খাবার চিকপিস, ওটসেও রয়েছে ফাইবার। এ জাতীয় খাবার পেট ভরা রাখে এবং কোষ্ঠ্যকাঠিন্য দূর করে। পুষ্টিবিদদের মতে সেহরির সময়ে খাবারে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ প্রোটিন ও কার্বহাইড্রেট থাকা উচিত। আপনি যদি বেশি প্রোটিন বা ফাইবার খেয়ে ফেলেন তাহলে সারাদিন আপনার তৃষ্ণা লাগতে পারে।

দুগ্ধজাত পণ্য এবং চর্বিহীন মাংস থেকে প্রোটিন:

দুধ, ডিম, মুরগির মাংস, দই এবং মসুর ডাল আপনার খাদ্য তালিকায় রাখুন। এতে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও ভালো থাকবে। পুষ্টিবিদের মতে, খাদ্য তালিকায় সিরিয়াল ও প্রোটিনের সমন্বয় রাখা উচিত। আপনার খাবারে ৬০ থেকে ৮০ গ্রাম প্রোটিন অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।

পরিহার করুন হাইড্রেটযুক্ত খাবার:

সাহেরিতে চা, কফি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এ জাতীয় খাবারে শরীরে পানির ঘাটতি তৈরি করে এবং সারাদিন তৃষ্ণা লাগে। এছাড়া মিষ্টি জাতীয় খাবার বা পানীয় দ্রুত হজম হয়ে যায় এবং ক্ষুধা লাগে। তবে খুব বেশি পানিও খাওয়া যাবে না। এর ফলে পেট ফুলে যাওয়া এবং বদহজমের মতো সমস্যা হয়।

এছাড়া যেসব ফল শরীর ঠাণ্ডা রাখে যেমন তরমুজ, আনারস, কমলা, টমেটো তালিকায় রাখুন।

এমএস

সম্পর্কিত বিষয়:

×