বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিলাসবহুল লঞ্চ।
বাংলাদেশের লঞ্চকে ‘টাইটানিক’র সঙ্গে তুলনা করেছে ভারতের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার। প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যমটি লেখে, দেখে মনে হবে যেন নদীতে ভেসে বেড়াচ্ছে ‘টাইটানিক’! জাহাজ নয়, লঞ্চ। বিলাসবহুলভাবে সফরের যাবতীয় বন্দোবস্ত রয়েছে এই লঞ্চে। বরিশাল-ঢাকা নৌপথে এবার চোখ ধাঁধাবে নতুন এই লঞ্চ।
সবচেয়ে বেশি যাত্রী ধারণক্ষমতা সম্পন্ন ও আকারে বড় এই নতুন লঞ্চ। যার নাম ‘সুন্দরবন ১৬’। গত ১৬ নভেম্বর বরিশাল লঞ্চ ঘাটে শুভ উদ্ভোধন হয়ে গেলো ঢাকা-বরিশাল রুটের বিলাশবহুল লঞ্চ এম ভি সুন্দরবন-১৬।
লঞ্চটিতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়েছে। এমনকি সাজসজ্জাতেও নতুনত্ব আনা হয়েছে। লঞ্চটি চার তলা বিশিষ্ট। এটির দৈর্ঘ্য ৩৬০ ফুট এবং প্রস্থ ৬০ ফুট। রয়েছে লোয়ার ডেক, আপার ডেক ও ২৫০ প্রথম শ্রেণির কেবিন।
লঞ্চটিতে একসঙ্গে মোট ১৩৫০ জন যাত্রী চড়তে পারবেন। লঞ্চে থাকছে ৬টি ভিআইপি ও দশটি সেমি ভিআইপি কক্ষ। বরিশাল-ঢাকা নৌপথে লঞ্চে করে সফরে যাত্রীস্বাচ্ছন্দ্যের কথা ভেবে একাধিক ব্যবস্থা করা হয়েছে। লঞ্চে রয়েছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা। থাকছে বাহারি আলো।
নৌপথে সফরের সময় যাত্রীদের খিদে পেলে মুশকিল আসান হিসাবে রাখা রয়েছে ফুড কোর্ট। যেখানে নানা ধরনের খাবার পাওয়া যাবে।
লঞ্চে যাত্রী নিরাপত্তার দিকেও বাড়তি নজর রাখা হয়েছে। লঞ্চের বিভিন্ন জায়গায় বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। এছাড়াও লঞ্চে থাকছে আধুনিক অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা। লঞ্চে সফরের সময় ইন্টারনেট পরিষেবার জন্য থাকছে ওয়াই-ফাইয়ের ব্যবস্থাও।
কোনো যাত্রী অসুস্থ হলে বা আপৎকালীন পরিস্থিতি চিকিৎসার প্রয়োজন হলে লঞ্চে রয়েছে ‘ফার্মেসি’। হৃদ্রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য লঞ্চে রয়েছে করোনারি কেয়ার ইউনিট। লঞ্চের এক তলা থেকে অন্যত্র যাওয়ার জন্য থাকছে বিশেষ ধরনের লিফট।
এদিকে, লঞ্চে শিশুদের জন্যও সাজানো রয়েছে বিনোদনের সম্ভার। তাদের জন্য বিনোদনের বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে।
লঞ্চটি তৈরি করেছে সুন্দরবন নেভিগেশন কোম্পানি। তাদের দাবি, ‘সুন্দরবন ১৬’-ই এখনও পর্যন্ত দেশের সবচেয়ে বড় লঞ্চ।
অপরদিকে, পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় দক্ষিণাঞ্চলে নৌপথে যাত্রীসংখ্যা কমেছে। কিন্তু যাত্রী ধরে রাখতে লঞ্চে আধুনিক সমস্ত সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হলে লঞ্চটি লাভজনক হবে বলে আশা সুন্দরবন নেভিগেশন গ্রুপের।
এমএইচ