ফ্যাশন উইক
সারা পৃথিবীর ফ্যাশন প্রেমিরা তাকিয়ে থাকেন প্যারিস ফ্যাশন উইক’র দিকে। এটি এমন একটি মর্যাদাপূর্ণ শোতে এই প্রথমবার এর মত একজন বাংলাদেশী উদ্যোক্তা এবং ফ্যাশন ইনফ্লুয়েনসার হিসেবে ফারনায আলম আমন্ত্রিত হয়েছেন।
১ম অক্টোবর থেকে ৫ অক্টোবর প্যারিসে অনুষ্ঠিত হয় এই ফ্যাশন উইক।
প্রথম দিন ছিল "কার্ল লেগারফিল্ড" এর শো। এই শোতে আরো ছিলেন বিশ্বের সেরা ফ্যাশন ইনফ্লুয়েনসাররা, সেলিব্রিটি এবং সেই সাথে অনেক ভিআইপি অতিথি। এই শো টি কার্ল লেগারফিল্ড এর গ্রীষ্মের কালেকশন ছিল। ওরা সাধারনত তাদের ব্র্যান্ডের প্রচার করে প্যারিসের ঐতিহাসিক ভবনগুলোতে। এবার যেই ঐতিহাসিক ভবনে আয়োজন করেছে সেটি প্যারিসের ৮০ বছরের পুরানো স্থাপত্য ভবন।
২য় দিন ছিলো "ভ্যালেন্টিনিও"র শো। ভ্যালেন্টিনোর ব্র্যান্ড অ্যাম্বেসেডর উপস্থিত ছিলেন। তিনি "স্পাইডারম্যান" মুভির নায়িকা, এছাড়াও ফ্যাশন জগতের সব সেলিব্রেটি, ভোগ ম্যাগাজিনের চিফ এডিটর , বিশ্ব ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। সেলিব্রেটিদের মধ্যে ছিলো নিকোলা বেকহ্যাম, ব্রুকলিন বেকহ্যাম, আনা উইন্টুর, বেলা হাদিদ, নাওমি ক্যাম্পবেল সহ আরও অনেকে।
এ যেন সব তারকাদের এক মেলা। ফ্যাশন ওয়ার্ল্ড, মডেল ওয়ার্ল্ড, বিউটি ওয়ার্ল্ড এর এক অনন্য কম্বিনেশন। ওরা ভ্যালেন্টাইন শোতে শোকেস করে ওদের পরবর্তী বসন্ত, গ্রীষ্মের কালেকশন।
এটা আসলে একটি আশ্চর্যজনক অভিজ্ঞতা কারণ যেই কালেকশন গুলো বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত মানুষদের সাথে অভিজ্ঞতা শেয়ার করাটা আসলে বাংলাদেশী হিসাবে প্রথমবারের মতো খুব সুন্দর অনুভূতি।
৩য় দিন ছিলো "মিউমিউ" এর শো। এই শোতেও ফ্যাশন ওয়ার্ল্ডের নেতৃস্থানীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ মানুষরা উপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যে ভোগ ম্যাগাজিন থেকে শুরু করে, ইলি ,লো অফিশিয়াল এর চিফ এডিটররা উপস্থিত ছিলেন। বেলা হাদিদ, গিগি হাদিদ র্যাম্পওয়াক করেছেন। এই শোতেও ওদের আসন্ন বসন্ত-গ্রীষ্মের কালেকশন শো করা হয়েছে। ফারনাজ আলমের জন্য এটি একটি আশ্চর্যজনক অনুষ্ঠান ছিল।
বিদেশের মাটিতে ফারনাজ আলম বাংলাদেশি ব্র্যান্ড শোকেস করেছেন। তিনি বাংলাদেশি ব্র্যান্ড “মুক্তা” এবং “মারিয়ামাহ”-এর পোশাক পরেছিলেন । এছাড়াও জেসন লাক্সারি ব্র্যান্ড তাকে স্পন্সর করেছে। যাদের ড্রেস তিনি শোগুলোতে পড়েছিলেন সেগুলো হোলো – ভ্যালেন্টাইন, মিউমিউ, ইলি সাব, ওয়াইএসএল, জর্জেস হোবেইকা।
প্যারিস ফ্যাশন উইক এ ফারনাজ আলম তিনটা স্পেশাল শ্যুট করেছেন, তিনটা লাক্সারি ব্র্যান্ড এর সাথে এবং তিনটি শো করেছেন একজন বাংলাদেশী ফ্যাশন প্রভাবশালী এবং উদ্যোক্তা হিসাবে।
এমএস