যুগল পোশাক
ফ্যাশনে একটা সময় যুগল পোশাক হতো দুইবোন বা দুই ভাইয়ের। এছাড়া যমজ বা পিঠাপিঠি ভাইবোন একই রকম পোশাক পরত, যেন দুজনের পোশাকি মিলটাও থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় এসেছে ‘যুগল পোশাক’। এরপর একটা সময়ে উৎসবে বাবা-ছেলে বা মা-মেয়ে মিলিয়ে পোশাক পরত। দম্পতিরা বাজার ঘুরে ঘুরে নিজেরা মিলিয়ে পোশাক কিনত কিংবা দর্জির কাছ থেকে বানিয়ে নিত
বেশ কয়েক বছর ধরে ফ্যাশন জগতে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে জুটি বেঁধে পোশাক পরার ট্রেন্ড। পরিবার অথবা প্রিয়জনদের সঙ্গে উৎসব-পার্বণে একই রকম পোশাক পরার ট্রেন্ড চলছে। ফ্যাশনে একটা সময় যুগল পোশাক হতো দুইবোন বা দুই ভাইয়ের। এছাড়া যমজ বা পিঠাপিঠি ভাইবোন একই রকম পোশাক পরত, যেন দুজনের পোশাকি মিলটাও থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় এসেছে ‘যুগল পোশাক’। উৎসবে বাবা-ছেলে বা মা-মেয়ে মিলিয়ে পোশাক পরত। দম্পতিরা বাজার ঘুরে ঘুরে নিজেরা মিলিয়ে পোশাক কিনত কিংবা দর্জির কাছ থেকে বানিয়ে নিত।
এখন দেশীয় ফ্যাশন ব্র্যান্ডের ডিজাইনাররা এ কাজ সহজ করে দিয়েছেন। এ ধরনের পোশাক তৈরির সময় বেশি নজর রাখা হয়েছে রঙের ক্ষেত্রে। কারণ, পোশাক বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথমে রঙ নজর কাড়ে। পাঞ্জাবির সঙ্গে শাড়ি অথবা পাঞ্জাবি আর সালোয়ার কামিজের যুগলবন্দি, বাবা-ছেলের ম্যাচিং পাঞ্জাবি আবার বাবা-ছেলে-মা-মেয়ের একই রকম পোশাকের ফ্যাশন বেশ চলছে। কখনও একই রকম কাপড় দিয়ে বা রং মিলিয়ে আবার কখনও একই রকম কারুকাজ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এসব যুগল বা ম্যাচিং পোশাক।
ব্র্যান্ড ভেদে যুগল পোশাকের ক্ষেত্রে মেয়েদের জন্য রয়েছে সালোয়ার-কামিজ এবং শাড়ির পাশাপাশি কিছু কুর্তির আয়োজন। ছেলেদের জন্য আছে পাঞ্জাবি। বাজার ঘুরে দেখা গেল, এ বছরের যুগল পোশাকে আছে রঙ এবং নকশা এ দুইয়ের মেলবন্ধন। দুজনের পোশাকে কখনও রঙবিন্যাস একই রেখে নকশায় আনা হয়েছে কিছু পরিবর্তন, আবার কখনও দেখা গেছে নকশা এক রেখে রঙের ক্ষেত্রে কিছু ভিন্নতা। সলিড কালারে নকশার বৈচিত্র্য এনেছেন অনেক ডিজাইনার। তবে, মধ্য বয়সী ও পরিবারের সবার কথা চিন্তা করেই রঙ আর নকশায় পরিবর্তন আনা হয় প্রতিটি পোশাকে।
হাল ফ্যাশনে মোটিফ বা ডিজাইনে দেশীয় নকশার সঙ্গে মিল রেখে পাশ্চাত্য কাটিংয়ের মিশ্রণে তরুণদের জন্য তৈরি হচ্ছে যুগলবন্দি পোশাক। প্রথম দিকে এসব পোশাকে তরুণদের আগ্রহ বেশি থাকলেও এখন সব বয়সীর পছন্দের তালিকায় স্থান পেয়েছে যুগল পোশাক। মূলত, বিশেষ দিবসে অনেকেই পরতে চান যুগল পোশাক।
অধিকাংশ ফ্যাশন ব্র্যান্ডের অনলাইন স্টোর ও ফেসবুক পেজ ঘেঁটে দেখা গেছে, এ ধরনের পোশাক তৈরির ক্ষেত্রে বেশি নজর রাখা হয়েছে রঙের ক্ষেত্রে। কারণ, পোশাক বেছে নেওয়ার সময়ে প্রথমে রঙ নজর কাড়ে। আর মোটিফের ক্ষেত্রে ছেলেমেয়ে দুজনের ক্ষেত্রে সব সময় এক মোটিফ ব্যবহার করা হয় না, ডিজাইন ভেদে কখনো নিয়ে আসা হয় কিছুটা ভিন্নতা।
তবে শাড়ির ক্ষেত্রে আঁচলের ডিজাইনে ভ্যালু এডিশনে গুরুত্ব দেওয়া হয় বেশি। সমসাময়িক ফ্যাশন ট্রেন্ডের সঙ্গে ফিউশনও থাকে কখনও কখনও। তবে জোড়া পোশাকগুলোর দাম সাশ্রয়ী করার জন্য ব্র্যান্ডগুলো পোশাকের ক্যানভাস ও ডিজাইন প্যাটার্নকে প্রাধান্য দিচ্ছে বেশি। পাশাপাশি মেশিন এম্ব্রয়ডারি, কাট ওয়ার্ক ও প্রিন্টের ব্যবহারও থাকছে। উৎসব পার্বণে এখন যুগল পোশাকের চাহিদাই লক্ষণীয়। বয়স আর আবহাওয়ার কথা চিন্তা করে ডিজাইনাররা তাই এসব পোশাক বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে তৈরি করছেন।
কোথায় পাবেন:
যুগলবন্দি পোশাকের ট্রেন্ড চালু হওয়ার পর থেকেই অনেক রিটেইল স্টোর তাদের কালেকশনে যুক্ত করেছে এগুলো। তবে দেশীয় ব্র্যান্ডের পোশাকে ক্রেতাদের আগ্রহ বরাবরই বেশি। ডিজাইন, কাপড়ের মান এবং প্যাটার্ন গ্রহণযোগ্যতায় এগিয়ে রয়েছে যেসব দেশি ব্র্যান্ড তাহলো অঞ্জন’স, আড়ং, কে ক্রাফট, সেইলর, রঙ বাংলাদেশ, ইয়োলো, লা রিভ অন্যতম।
ছবি : বিশ্বরঙ
ফ্যাশন প্রতিবেদক