
ছবিঃ সংগৃহীত
বর্তমানে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, একজন ব্যক্তি বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কারো সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন, কিন্তু পরে সে প্রতিশ্রুতি পালন না করে পিছু হটেন। এ ধরনের ঘটনা শুধু সামাজিকভাবে নয়, আইনগতভাবেও একটি গুরুতর অপরাধ।
বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৪২০ ধারায় প্রতারণা এবং ৩৭৬ ধারায় ধর্ষণের অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে, যদি প্রমাণ হয় যে বিয়ের প্রতিশ্রুতি ছিল কেবল শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের কৌশল। আদালত এই ধরনের ঘটনাকে প্রতারণামূলক ধর্ষণ হিসেবে বিবেচনা করতে পারে।
এক্ষেত্রে নিকটস্থ থানায় অভিযোগ দিতে পারেন। নিম্ন আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-এ মামলা দায়ের করা যায়। তাছাড়া আইনজীবীর পরামর্শে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
তবে এই ধরনের মামলায় বিয়ের প্রতিশ্রুতি, সম্পর্ক স্থাপনের সময়কাল, যোগাযোগের মাধ্যম (মেসেজ, কল রেকর্ড, সাক্ষী ইত্যাদি)— সবই গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হিসেবে কাজে আসে।
বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্ক করা এবং পরে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করা শুধু নৈতিক অবক্ষয় নয়, এটি আইনের চোখেও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ভুক্তভোগীদের উচিত ভয় না পেয়ে আইনের সহায়তা নেওয়া।
সূত্রঃ https://www.facebook.com/reel/1064178658800948
আরশি