ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২

স্বামী-স্ত্রীর ‘সেপারেশনের’ পর সন্তানের ভরণপোষণের দায়িত্ব কার?

প্রকাশিত: ১১:১৯, ২৮ এপ্রিল ২০২৫; আপডেট: ১১:২০, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

স্বামী-স্ত্রীর ‘সেপারেশনের’ পর সন্তানের ভরণপোষণের দায়িত্ব কার?

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আঞ্জুমান আরা লিমা জানিয়েছেন, স্বামী-স্ত্রীর সেপারেশনের পর সন্তানের ভরণপোষণের দায়িত্ব কার? তিনি বলেন, “আমাদের মুসলিম আইনে সেপারেশন বলে কিছু নেই। তবে আধুনিক সমাজে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য এবং বোঝাপড়ার অভাবে অনেক সময় তারা আলাদা হয়ে যায়। তাদের মধ্যে একে অপরের প্রতি সম্মান এবং সহাবস্থানের অনুকূল পরিস্থিতি না থাকলে তারা ডিভোর্স না দিয়ে আলাদা থাকতে চায়।”

আইনজীবী আরও জানান, এমন পরিস্থিতিতে সন্তানের ভরণপোষণের দায়িত্ব কী হবে? তিনি ব্যাখ্যা করেন, "যদি মা-বাবা দুজনই উপার্জনক্ষম হন, তবে আইনের মতে, যতদিন না সন্তানের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হয় বা মেয়েটির বিয়ে না হয়, তার ভরণপোষণের দায়িত্ব বাবাকেই নিতে হবে। আর ছেলের ক্ষেত্রে, যতদিন না সে নিজের পায়ে দাঁড়ায়, অর্থাৎ স্বাবলম্বী না হয়, ততদিন তার ভরণপোষণ বাবারই দায়িত্ব।”

তিনি আরও বলেন, "যদি স্বামী-স্ত্রীর ডিভোর্স না হয়ে থাকে, তবে স্ত্রীরও ভরণপোষণের অধিকার থাকে। তবে ডিভোর্স হলে স্ত্রীর পক্ষে স্বামীর কাছ থেকে ভরণপোষণের দাবি করা সম্ভব নয়। তবে, যদি তারা স্বেচ্ছায় আলাদা থাকে, ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে, স্ত্রীর অধিকার রয়েছে স্বামীর কাছ থেকে ভরণপোষণ পাওয়ার এবং সন্তানদের খরচও তার স্বামীর কাছ থেকে আদায় করা যাবে।"

আইনজীবী আঞ্জুমান আরা লিমা আরও জানান, "অনেক সময় স্বামী-স্ত্রী আলাদা থাকার পর, স্বামী বাচ্চাদের খরচ দিতে অস্বীকার করেন। তবে এটি সম্পূর্ণ ভুল। যদি বাচ্চারা মায়ের কাছে থাকে, তাহলে তাদের ভরণপোষণের খরচ এবং ডিভোর্স না হয়ে থাকলে স্ত্রীর খরচও স্বামীকেই দিতে হবে। যদি স্বামী এই দায়িত্ব পালন করতে অপারগ হন, তবে স্ত্রী ফ্যামিলি কোর্টে গিয়ে ভরণপোষণের টাকা দাবি করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে আইনি কোনো সীমাবদ্ধতা নেই।"

সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=MgQG-kW016A

আবীর

×