
ছবি: সংগৃহীত
আইনজীবী আঞ্জুমান আরা লিমা জানিয়েছেন, হঠাৎ যদি কারো নামে মামলা হয়, তাহলে প্রথমেই জানতে হবে সে নিজে বিষয়টি জানে কিনা। যদি থানার মাধ্যমে কোনো ক্রিমিনাল মামলা হয়ে থাকে, তাহলে সাধারণত অভিযুক্ত ব্যক্তি থানার মাধ্যমে তা জানতে পারবেন।
তিনি বলেন, প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে অভিযোগকারী থানায় গিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপর তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) অভিযোগের বিষয়ে যোগাযোগ করবেন এবং থানায় উপস্থিত হতে বলবেন। তখনই অভিযুক্ত ব্যক্তি বুঝতে পারবেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে কিনা। যদি অভিযোগটি সত্য হয়, তাহলে তা থানার মাধ্যমে আদালতে পাঠানো হবে। এজন্য মামলা যতদিন থানায় থাকে, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে নিয়মিত খোঁজ রাখতে হবে যে মামলা কোর্টে গিয়েছে কিনা।
মামলা আদালতে গেলে প্রথম শুনানির তারিখের পর দ্বিতীয় শুনানিতেই ম্যাজিস্ট্রেট মামলার সত্যতা যাচাই করে ওয়ারেন্ট জারি করতে পারেন। তাই থানার পর্যায়ে থেকেই চেষ্টা করতে হবে অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণের। যদি তা সম্ভব না হয় এবং মামলা কোর্টে চলে যায়, তাহলে দ্রুত একজন দক্ষ আইনজীবী নিয়োগ করে থানায় যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। সরাসরি কোর্টে না গিয়ে প্রথমে আইনজীবীর মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। কারণ যদি অজান্তেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়ে থাকে, তাহলে কোর্টে গেলে তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তারের ঝুঁকি থাকে।
আঞ্জুমান আরা লিমা আরও বলেন, এ ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন (ইন্টারিম বেল) নেওয়া জরুরি। এজন্য উচ্চ আদালতে হাজির হয়ে জামিন নিয়ে পরে নিম্ন আদালতে মামলার কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হয়।
অন্যদিকে, সিভিল মামলার ক্ষেত্রে থানার ভূমিকা না থাকায় ভিন্ন পদ্ধতি অনুসরণ করতে হয়। সিভিল মামলায় কোর্ট সরাসরি অভিযুক্তের নির্দিষ্ট ঠিকানায় নোটিশ পাঠায়। নোটিশ পাওয়ার পর ব্যক্তি যেন সরাসরি না গিয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে কোর্টের তথ্য সংগ্রহ করেন এবং পরবর্তী পদক্ষেপ নেন, এমনটাই পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
সূত্র: https://youtu.be/iW92sWFnGsY?si=0XC_D37VrLrB7Ro4
আবীর