
ছবি: প্রতিকী
অনেকেই থানায় জিডি করেন বা কোর্টে মামলা করেন। পরবর্তীতে যদি স্থানীয়ভাবে আপোষ হয়ে যায়, তখন অনেকেই মনে করেন আর কিছু করার দরকার নেই। অথচ এই ধারণা থেকেই ঘটে যেতে পারে বড় বিপদ।
জানা গেছে, জিডি বা মামলা করার পর যদি আপোষ হয়, তবুও যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা প্রয়োজন। অনেক সময় দেখা যায়, আপোষ হওয়ার পর বাদী-বিবাদী দুই পক্ষই গুরুত্ব না দিয়ে বসে থাকেন। এতে আদালতে হাজিরা না দেওয়ার কারণে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নামে ওয়ারেন্ট ইস্যু হয়ে যায়। পুলিশ যখন গভীর রাতে গ্রেফতার করতে আসে, তখন অহেতুক পুলিশের সাথে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়।
থানায় করা জিডির ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য। জিডির তদন্ত শেষে আদালত দুই পক্ষকে সমন পাঠালে তা উপেক্ষা করা যাবে না। আপোষ হলে অবশ্যই থানায় গিয়ে লিখিতভাবে জিডি প্রত্যাহারের আবেদন করতে হবে। জিডির দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার তা নথিভুক্ত করে খারিজ করবেন।
কোর্টের মামলার ক্ষেত্রে, আপোষ হলেও মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আদালতের ডাক বা সমনের জবাব দেওয়া বাধ্যতামূলক। অনেক সময় দেখা যায়, জমি সংক্রান্ত বা পারিবারিক মামলায় আপোষ হলেও বাদী বা বিবাদী আদালতে গিয়ে মামলা উঠিয়ে নেওয়ার পদক্ষেপ নেন না, ফলে ওয়ারেন্ট জারি হয় এবং পুলিশ গ্রেফতার করে। এতে নতুন করে সামাজিক বিভেদ সৃষ্টি হয়।
বিশেষ করে গ্রামের সাধারণ মানুষ, যারা আইন-কানুন কম বোঝেন, তাদের মধ্যে এই ভুল বেশি দেখা যায়। তাই, আইনগত প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরি।
জিডি বা মামলা যেটাই হোক, আপোষ হলে তা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাহার না করলে বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে। সচেতনতা এবং সতর্কতার মাধ্যমেই এ ধরনের বিপদ এড়ানো সম্ভব।
সূত্র: https://youtu.be/UvS8-UBMd3w?si=LsTP1H-2jPaWQRql
রবিউল হাসান