
ছবি: প্রতিকী
কাউকে টাকা ধার দেওয়া সহজ হলেও সময়মতো সেই টাকা ফেরত পাওয়া অনেক সময় কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। প্রিয়জনের প্রয়োজনে সাহায্য করেও পরে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়। টাকার জন্য সম্পর্ক নষ্ট হওয়াও দেখা যায়।
তবে কিছু সচেতনতা ও পরিকল্পনা অনুসরণ করলে পাওনা টাকা ফেরত পাওয়া সহজ হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন— আবেগ নয়, বাস্তবতাকে গুরুত্ব দিয়ে লেনদেন করতে হবে।
টাকা ধার দেওয়ার সময় যা যা করণীয়
লিখিত চুক্তি করুন: সাধারণ কাগজ হলেও একটি লিখিত চুক্তি করুন। টাকার পরিমাণ, ফেরতের তারিখ ও শর্তাবলী উল্লেখ করুন।
ব্যাংকিং মাধ্যমে লেনদেন করুন: নগদ লেনদেন না করে বিকাশ, নগদ, ব্যাংক ট্রান্সফার ব্যবহার করুন। এতে প্রমাণ থাকে।
বিশ্বস্ত সাক্ষী রাখুন: প্রয়োজনে কয়েকজন সাক্ষী রাখুন, যারা প্রয়োজনে আপনার পক্ষে কথা বলতে পারবেন।
ভিডিও/অডিও রেকর্ড রাখুন: বিশেষ করে প্রবাসীরা ভিডিও কল বা ভয়েস রেকর্ড রেখে লেনদেন করুন। মেসেজ বা ই-মেইলেও কথোপকথন সংরক্ষণ করা ভালো।
পরিবারের সদস্যদের জানিয়ে দিন: টাকার লেনদেন সম্পর্কে নিকটজনদের জানালে লেনদেনের স্বচ্ছতা বাড়ে।
কেন ডকুমেন্টেশন জরুরি?
- ডকুমেন্ট থাকলে পাওনা টাকা ফেরত না পেলে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা যায় অথবা আদালতে মামলা করা যায়।
- ডকুমেন্ট ছাড়া লেনদেনে প্রতারণার ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে। পক্ষান্তরে ডকুমেন্ট থাকলে ঋণগ্রহীতা আইনি বাধ্যবাধকতায় টাকাটি ফেরত দিতে বাধ্য হন।
প্রবাসী ভাইদের জন্য বিশেষ পরামর্শ
- বিদেশে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশে টাকা ধার দেওয়ার সময় সচেতন না থাকলে বেশি বিপদে পড়েন। তাদের জন্য পরামর্শ:
- দেশে থাকা কারও মাধ্যমে চুক্তি সম্পন্ন করা।
- লেনদেনের সময় ভিডিও বা অডিও কলের মাধ্যমে প্রমাণ রাখা।
- নিকট আত্মীয়দের অবহিত করা।
টাকা ফেরত না পেলে কী করবেন?
- প্রাথমিকভাবে ঋণগ্রহীতার সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
- প্রয়োজনে স্থানীয় থানায় জিডি করুন।
- ডকুমেন্টসহ বিজ্ঞ আদালতে দেওয়ানি মামলা করতে পারেন।
- আইনজীবীর পরামর্শ নিন।
সতর্কতা ও সচেতনতাই সমাধান
টাকা ধার দেওয়ার সময় আবেগ নয়, বাস্তবতা বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
ডকুমেন্টসহ লেনদেন করলে সম্পর্কও রক্ষা পাবে, টাকাও আদায় হবে। আর আইনের সহায়তা নেওয়ার পথ সবসময় খোলা রয়েছে।
সূত্র: https://www.facebook.com/watch/?v=872501308189554&rdid=eswEJe7cauI0XKcD
রবিউল হাসান