
ছবি : সংগৃহীত
পুলিশ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, "মিথ্যা বলা শুধু সামাজিক নয়, অনেক সময় এটি আইনের দৃষ্টিতেও অপরাধ হিসেবে গণ্য হতে পারে।" তার মতে, শিশুদের অতিরিক্ত শাসন ও অপমানই তাদের মিথ্যা বলার অভ্যাস গড়ে তোলে, যা পরবর্তীতে বড় অপরাধের রূপ নিতে পারে।
তিনি বলেন, অনেক অভিভাবক সন্তানদের একটু ভুল করলেই বকা, মারধর কিংবা অন্যের সামনে অপমান করে থাকেন। বিশেষ করে যাদের সন্তান ৪ থেকে ১৬ বছর বয়সী, তাদের প্রতি আরও যত্নবান হওয়া উচিত। কারণ, এই বয়সে শারীরিক ও মানসিক বিকাশ হয় এবং অতিরিক্ত শাসনের কারণে তারা ভয় পেয়ে মিথ্যা বলতে শিখে যায়।
জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন, ছোটবেলায় যে সন্তান মিথ্যা বলতে শেখে, সে যখন প্রাপ্তবয়স্ক হয়, তখন অপরাধের সঙ্গে মিথ্যা মিলিয়ে আরও বড় ভুল করে বসে। তখন বাবা-মা চাইলেও আর সন্তানকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। এতে পরিবারে অশান্তি নেমে আসে এবং মা-বাবাকেই মানসিকভাবে বড় শাস্তির সম্মুখীন হতে হয়।
তিনি অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, সন্তানকে মানুষ করার ক্ষেত্রে শাসনের চেয়ে বোঝাপড়ার ভিত্তি তৈরি করাই বেশি জরুরি। কারণ, সন্তানরাই ভবিষ্যতে অভিভাবকের সম্মান বৃদ্ধি করবে, আর তাদের সঠিকভাবে গড়ে তোলার দায়িত্ব অভিভাবকেরই।
তিনি শেষে বলেন, "আইনগতভাবে হয়তো শাস্তি নেই, কিন্তু সন্তান যদি বিপথে যায়, তাহলে মানসিক শাস্তি পেতে হয় বাবা-মাকেই। তাই সন্তানদের বুঝিয়ে, ভালোবাসা দিয়ে বড় করুন।"
আঁখি