
ছবি সংগৃহীত
বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠা, অতঃপর সেই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া এ ধরনের ঘটনা এখন সমাজে প্রায়শই দেখা যায়। অনেক ক্ষেত্রেই এমন সম্পর্ক গড়ায় শারীরিক ঘনিষ্ঠতায়। কিন্তু পরবর্তীতে বিয়ে না করলে মেয়েটি পড়ে যায় কঠিন সংকটে। তখন প্রশ্ন আসে এই পরিস্থিতিতে আইনিভাবে নারীরা কী করতে পারে?
এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার লিমা আনজুমান জানান, ‘‘বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কোনো পুরুষ যদি কোনো নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন এবং পরে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান, তাহলে তাকে জোর করে বিয়ের জন্য বাধ্য করার কোনো আইনি ব্যবস্থা নেই।’’
তিনি আরও বলেন, “তবে মেয়েরা যখন এই সমস্যায় পড়েন, তখন অনেক সময় আইনজীবীদের কাছে এসে ধর্ষণের মামলা করার পরামর্শ নেন। এটি হয় মূলত আইনি চাপ প্রয়োগের একটি কৌশল হিসেবে, যাতে ছেলেটি বিয়েতে রাজি হয়।”
আইন অনুযায়ী, যদি নারী প্রমাণ করতে পারেন যে ছেলেটি দীর্ঘ সময় ধরে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে সম্পর্ক বজায় রেখেছেন এবং সেই আশ্বাসের ভিত্তিতেই শারীরিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে, তবে সেটিকে ‘ধর্ষণ’ হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারা অনুযায়ী, প্রতারণার মাধ্যমে সম্মতি আদায় করে শারীরিক সম্পর্ক করাকে ধর্ষণ হিসেবে গণ্য করা হয়।
এ প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার লিমা বলেন, ‘‘প্রমাণের বিষয়টি এখানে গুরুত্বপূর্ণ। কেবলমাত্র সম্পর্কের দাবি করলেই হবে না, প্রমাণ করতে হবে ছেলেটি প্রকৃতই বিয়ের আশ্বাস দিয়ে সম্পর্ক গড়েছে এবং সেটা ছিল প্রতারণামূলক।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘অনেক ক্ষেত্রে মামলার চাপে পড়ে ছেলেরা বিয়েতে রাজি হয়। কিন্তু এটিও একটি ভুল পন্থা। সম্পর্কের ইতি ঘটলে সেটির জন্য আইনকে ব্যবহারের আগে সম্পর্কের প্রকৃতি, সম্মতি এবং প্রতারণার উপাদান বিশ্লেষণ করা জরুরি।’’
আশিক