
ছবি: প্রতিকী
একদিন হঠাৎ খবর পেলেন—আপনার নামে নাকি ওয়ারেন্ট হয়েছে। পুলিশ আপনাকে খুঁজছে! আপনি হয়তো অবাক হয়ে বলবেন, “আমার নামে তো কোনোদিন কোনো মামলা হয়নি!” অথচ এমনটা হঠাৎ করেই ঘটতে পারে, বিশেষ করে যারা এক বা একাধিক মামলায় দীর্ঘদিন হাজিরা দেননি।
কেন ওয়ারেন্ট হয়?
যদি কোনো মামলার তারিখে আপনি আদালতে হাজির না হন, বিচারক সেটিকে আদালতের অবমাননা হিসেবে দেখেন এবং আপনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা (ওয়ারেন্ট) ইস্যু করতে পারেন। এমনকি যদি মামলাটি মিথ্যা বা আপনি দোষী না-ও হন, তারপরও অনুপস্থিতির কারণে একতরফাভাবে ওয়ারেন্ট হতে পারে।
প্রথম করণীয় কী?
ভয়ে পালিয়ে না থেকে, দ্রুত নিচের পদক্ষেপগুলো নিন:
- জেনে নিন কতটি মামলা রয়েছে: আপনার নামে একাধিক মামলা থাকলে, ঠিক কোন মামলায় ওয়ারেন্ট হয়েছে, তা খুঁজে বের করুন।
- থানায় বা পরিচিত পুলিশের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করুন: মামলার নম্বর, ধারা, আদালতের নাম ও ওয়ারেন্টের ধরন (সিআর বা জিআর) জেনে নিন।
- একজন অভিজ্ঞ আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করুন: পরিচিত না থাকলে দ্রুত একজন আইনজীবী খুঁজে নিন।
জামিনযোগ্য হলে কী করবেন?
অনেক ক্ষেত্রেই ওয়ারেন্ট ইস্যু হওয়া মামলাগুলো জামিনযোগ্য হয়। আপনি যদি অসুস্থতা বা বিদেশে থাকার কারণে হাজিরা দিতে না পারেন, তার প্রমাণপত্র (মেডিকেল সার্টিফিকেট/ভিসা-কাগজ) সঙ্গে নিয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করলে জামিন পাওয়ার সুযোগ থাকে।
জামিন না পেলে কী হবে?
জামিন না হলে আদালত আপনাকে জেল হেফাজতে পাঠাতে পারে। এ সময় আদালতে অনুপস্থিত থাকলে একতরফাভাবে মামলা চলতে পারে এবং আপনি দোষী না হয়েও সাজা পেতে পারেন।
সাবধানতা ও পরামর্শ:
- মামলার প্রতিটি তারিখ সম্পর্কে অবগত থাকুন।
- নিয়মিত আপনার আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন।
- ভয় না পেয়ে আইনানুগভাবে বিষয়টি মোকাবিলা করুন।
ওয়ারেন্ট মানেই দোষী প্রমাণ নয়। এটি একটি আইনি প্রক্রিয়া যার যথাযথ জবাব আইনের মধ্যেই রয়েছে। ভয় না পেয়ে আইনজীবীর পরামর্শে যথাসময়ে আদালতে হাজির হওয়া আপনাকে অযথা সাজা ও জেল থেকে রক্ষা করতে পারে।
সূত্র: https://www.facebook.com/share/v/1ADU5vQkWY/
রবিউল হাসান