
ছবি: সংগৃহীত
মোবাইল ফোন হারালে যেভাবে দ্রুত থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করি, ঠিক তেমনই যদি ব্যক্তিগত বা প্রাইভেট গাড়ি হারিয়ে যায়, তাহলে কী করবেন? এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই প্রথমে বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরামর্শ অনুযায়ী দ্রুত কিছু পদক্ষেপ নিলে গাড়ি উদ্ধারের সম্ভাবনা বাড়ে।
বাংলাদেশ পুলিশের পরামর্শ অনুযায়ী, গাড়ি হারালে যা করবেন:
১. তাৎক্ষণিকভাবে নিকটস্থ থানায় যোগাযোগ করুন: গাড়ি চুরি বা হারিয়ে গেলে প্রথমেই নিকটস্থ থানায় গিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে হবে। গাড়ির বিস্তারিত তথ্য—যেমন: রেজিস্ট্রেশন নম্বর, মডেল, রঙ, শেষ অবস্থান—এসব তথ্য স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে।
২. ৯৯৯ এ ফোন দিন: জরুরি প্রয়োজনে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে সাহায্য চাইতে পারেন। তারা দ্রুত পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রাথমিক পদক্ষেপ নিতে পারে।
৩. গাড়ির ট্র্যাকিং ব্যবস্থা থাকলে তা এক্টিভ করুন: যদি গাড়িতে জিপিএস ট্র্যাকিং সিস্টেম যুক্ত থাকে, তাহলে তা দ্রুত এক্টিভ করে লোকেশন ট্র্যাক করার চেষ্টা করুন এবং সেই তথ্য পুলিশকে দিন।
৪. সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করুন: গাড়ি যেখানে হারিয়েছে বা চুরি হয়েছে, সেই স্থানের আশপাশে কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা থাকলে তাৎক্ষণিকভাবে ভিডিও সংগ্রহের চেষ্টা করুন।
৫. রোড-চেক পয়েন্টে তথ্য দিন: থানার পাশাপাশি বিভিন্ন হাইওয়ে বা সিটি চেকপোস্টে গাড়ির বিবরণ দিয়ে তথ্য দিতে পারেন। এতে চোরাই গাড়ি চলাচলের সময় আটকানোর সম্ভাবনা বাড়ে।
বাংলাদেশ পুলিশের ওয়েবসাইট (www.police.gov.bd) এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পেজেও এমন অনেক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) একটি সূত্র জানায়, "গাড়ি চুরি হলে দ্রুত জিডি করা এবং ট্র্যাকিং তথ্য দেওয়া হলে, পুলিশ অনেক ক্ষেত্রেই গাড়ি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।"
সতর্কতা ও পরামর্শ: গাড়িতে অবশ্যই ট্র্যাকিং সিস্টেম, সাউন্ড অ্যালার্ম, স্টিয়ারিং লক ইত্যাদি ব্যবহার করুন। এছাড়া, সন্দেহজনক কাউকে ঘোরাফেরা করতে দেখলে সরাসরি পুলিশকে জানান।
গাড়ি শুধু একটি যানবাহন নয়, অনেকের জীবন-জীবিকার সঙ্গেও জড়িত। তাই সচেতন থাকুন, প্রয়োজনে দ্রুত পদক্ষেপ নিন।
আসিফ