
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী, জমির মালিকানা পেতে হলে এবং তা সংরক্ষণ করতে হলে রাষ্ট্রকে নির্ধারিত "খাজনা" প্রদান করতে হয়। অনেকেই মনে করেন, একবার দলিল করে জমি কিনে নিলেই তারা স্থায়ী মালিক। কিন্তু খাজনা না দেওয়া হলে সেই জমির মালিকানা ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যেতে পারে।
এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রখ্যাত আইনজীবী ব্যারিস্টার মঈন ঘোছ বলেন,
"খাজনা হল জমির প্রতি সরকারের দাবিকৃত বার্ষিক অর্থ। এটি পরিশোধ না করলে সংশ্লিষ্ট জমি 'রেকর্ড অব রাইটস'-এ অনিয়মিত হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে। দীর্ঘদিন খাজনা না দিলে তা বাতিলের কারণ হতে পারে, এমনকি সরকারি দখলেও যেতে পারে।"
তিনি আরও ব্যাখ্যা করেন,
"২০০২ সালের ভূমি সংস্কার আইন অনুযায়ী, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে খাজনা না দিলে সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিস নোটিশ দিতে পারে এবং বারবার অবহেলা করলে জমি মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। এটি শেষমেশ জমি বাজেয়াপ্ত পর্যন্ত গড়াতে পারে।"
কারণ ও প্রতিকার:
জমির খাজনা না দেওয়ার মূল কারণ সাধারণত মালিকানা সংক্রান্ত ভুল ধারণা, অজ্ঞানতা অথবা আর্থিক সংকট। তবে এখন অনলাইনেও খাজনা দেওয়ার ব্যবস্থা থাকায় এই প্রক্রিয়া অনেক সহজ হয়েছে।
আইনি পরামর্শ:
খাজনা না দেওয়া জমির মালিকানা নিয়ে কোনো মামলায় জড়ালে প্রমাণ হিসাবে খাজনার রসিদ খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই বছরে একবার হলেও খাজনা যাচাই ও পরিশোধ করা প্রতিটি জমি মালিকের দায়িত্ব।
আসিফ